সুদানে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৩ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ: জাতিসংঘ

মাক্সার টেকনোলজিস-এর তোলা স্যাটেলাইট ছবিতে মিশর-সুদান সীমান্ত এলাকা আর্গীন-এর একটি প্রধান ক্রসিং পয়েন্ট দেখা যাচ্ছে; ২৮ এপ্রিল ২০২৩।

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, গত মাসে সুদানের দুই সামরিক উপদলের মধ্যে লড়াই শুরুর পর থেকে, দেশটির অন্তত ৩ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করে। একই সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানায়, ১ লাখের বেশি মানুষ সুদান ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা একদিন আগে একটি অশুভ ভবিষ্যতবাণী করেছিলো যে চলমান সংঘাতের কারণে, ৮ লাখের বেশি মানুষ উত্তর আফ্রিকার এই দেশটি ছেড়ে যেতে বাধ্য হতে পারেন।

আরো একটি আপাত অস্ত্রবিরতি চুক্তির সময়সীমা বাড়ানো সত্ত্বেও, মঙ্গলবার সুদানের সরকারী বাহিনী ও আধাসামরিক র‍্যাপিড-সাপোর্ট ফোর্স(আরএসএফ) এর মধ্যে লড়াই অব্যাহত ছিলো। সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান ও আরএসএফ প্রধান মোহামেদ হামদান দাগালোর মাঝে সম্পর্কের অবনতি হলে, ১৫ এপ্রিল থেকে এই লড়াই শুরু হয়। সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানায়, এ পর্যন্ত এ সংঘাতে ৫০০ জন নিহত ও ৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর গঠিত সুদানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে এই দুই জেনারেল পরস্পরের মিত্র ছিলেন।

সুদানে চলমান লড়াইয়ের কারণে বিদেশী রাষ্ট্রের সরকারগুলো তাদের নাগরিকদের দেশটি থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।

রুশ সেনাবাহিনী মঙ্গলবার জানিয়েছে, ৪টি সামরিক পরিবহনে করে ২০০ জনের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রক সোমবার জানিয়েছে, তিনটি গাড়িবহরের মাধ্যমে শুক্রবার থেকে সাতশ’র বেশি মানুষকে সরানো হয়েছে।আর, গত মাসে সহিংসতা শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ১ হাজারেরও বেশি মানুষকে দেশটি থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।

ব্রিটেনের সরকার রবিবার জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে দেশটির নাগরিকদের সরিয়ে আনার জন্য বাড়তি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।