মিয়ানমারের জান্তা সরকার বুধবার (৩ মে) বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি ছুটি উপলক্ষে ২ হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। ভিন্নমত পোষণ করার কারণে তাদের কারাবন্দী করা হয়েছিল। কারাবন্দী প্রিয়জনদের সঙ্গে পুনর্মিলনের জন্য তাদের পরিবারগুলো কারাগারে ছুটে যায়।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে দেশকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেয়ার পর থেকে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ও সক্রিয় কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
জান্তা সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, “বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে দণ্ডবিধির ৫০৫ (ক)–এর অধীনে সাজাপ্রাপ্ত ২ হাজার ১৫৩ জন বন্দীকে ক্ষমা করা হয়েছে”।
এই আইনে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
এই ঘোষণার পর ইয়াঙ্গুনের ঔপনিবেশিক আমলের ইনসেইন কারাগারের বাইরে প্রায় ৫০ জন মানুষ জড়ো হন বলে এএফপির সাংবাদিকেরা জানিয়েছেন।
.ভিড়ের মধ্যে অপেক্ষায় ছিলেন মা ইয়ে ইয়ে নামের এক নারী। তাঁর ছেলেকে ২০২১ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, “আমার ছেলেকে কোনো কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি আজ সকালে ভাবছিলাম, এই বৌদ্ধ পূর্ণিমায় যদি আমার ছেলেকে মুক্তি দেওয়া হয় তবে সত্যিই ভালো হবে। তারপর ফোনে জেনেছি যে, সাধারণ ক্ষমা পাবে, তাই অপেক্ষা করছি, এটা আমার দায়িত্ব”।
জান্তা সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সামরিক বাহিনী “জনগণের শান্তিপূর্ণ মন ও মানবিক কারণে” ক্ষমার আদেশ দিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, যারা পুনরায় দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের সাজার অবশিষ্ট অংশ অতিরিক্ত জরিমানাসহ কাটাতে হবে।
মিয়ানমার সরকার সাধারণত জাতীয় ছুটির দিন বা বৌদ্ধদের ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে হাজার হাজার বন্দীকে মুক্তি দিয়ে থাকে।