ভারতের কাশ্মীরে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে

ফাতিমা বেগম তার মেয়ের মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করছেন। তাকে মার্চ মাসে ভারতের কাশ্মীরের বুদগাম জেলার সোইবুগ এলাকায় খুন করে টুকরো টুকরো করা হয়েছিল। ফাতিমা বেগমকে আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশীরা ঘন ঘন দেখতে আসেন।

গত কয়েক বছরে কাশ্মীরের ভারতীয় অংশে হত্যা, ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতনসহ নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো জানিয়েছে, এই অঞ্চলে ২০২১ সালে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ ১৫ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্য হিন্দু পত্রিকায় সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে ৩ হাজার ৪০৫টি এবং ২০১৯ সালে ৩ হাজার ৬৯টি মামলার তুলনায় ২০২১ সালে ৩ হাজার ৯৩৭টি মামলা রিপোর্ট করা হয়েছিল।

নারী সংক্রান্ত অপরাধ নিয়ে কাজ করছেন এমন একজন আইনজীবী রোমান মুনীব মনে করেন, নারীর অধিকার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, মাদকের অপব্যবহার এবং কর্তৃপক্ষের আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে গুরুত্বের অভাব সহ বিভিন্ন কারণে এই বৃদ্ধি ঘটে।

শ্রীনগরের ঈদগাহ পাড়ার বাসিন্দা নিসার আহমেদ চিলু তার চিকিৎসার জন্য ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইয়ে যাওয়ার জন্য তার এবং তার মেয়ের লাগেজ প্যাক করেন।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তামান্না (ছদ্মনাম) (২৫) কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় একটি স্কুটারে করে আসা দুজন ব্যক্তি তাকে বাধা দেয় এবং তার মুখে এসিড নিক্ষেপ করে।

চিলু বলেন, অপরাধের জন্য দায়ী দুজনই পুলিশ হেফাজতে আছে। হামলাকারীদের একজন ছিল তার মেয়ের সাবেক বাগদত্তা।

শ্রীনগরের মীর সাবিন (৩৩) ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, বিয়ের পরপরই তিনি তার শ্বশুরবাড়ি এবং স্বামীর দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার পর তাকে তার ছেলের সাথে তার বাবা-মায়ের বাড়িতে ফিরে যেতে হয়েছিল।