সুদানে যুদ্ধে ৭ লাখের বেশি মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে, বলছে জাতিসংঘ

সুদান পাড়ি দেয়া লোকজনকে দক্ষিণ সুদানের রেঙ্ক কাউন্টির একটি শরণার্থী শিবিরে দেখা যাচ্ছে। ৩ মে, ২০২৩।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলছে, উত্তর আফ্রিকার দেশটির নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াইরত দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গত মাসে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে ৭ লাখের বেশি সুদানি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।

আইওএম জানিয়েছে, আরও এক লাখ সুদানি দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।

সৌদি আরবের জেদ্দায় তৃতীয় দিনের আলোচনার জন্য যুদ্ধরত উভয় গোষ্ঠীর দূতদের বৈঠকের একদিন পর নতুন পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়।

তিন সপ্তাহের বেশি সময়ের যুদ্ধের পর খার্তুম এবং সুদানের অন্যান্য শহরগুলোতে খাদ্য, আশ্রয়, চিকিৎসা সেবার প্রয়োজনে কয়েক হাজার মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি দেয়া এই আলোচনার লক্ষ্য।

ইতোমধ্যে সৌদি আরব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তারা সুদানকে ১০ কোটি ডলারের সহায়তা দেবে।

জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে সুদানের সামরিক বাহিনী এবং জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে আধাসামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে ১৫ এপ্রিল যুদ্ধ শুরু হয়।

বারবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি সংঘাতের অবসান ঘটাতে এমনকি সহিংসতা হ্রাসেও ব্যর্থ হয়েছে। সুদানের রাজধানী খার্তুমের প্রত্যক্ষদর্শীরা ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, তারা সোমবার শহরের কেন্দ্রস্থলে এবং এর আশেপাশে নতুন করে বন্দুকযুদ্ধ এবং বিমান হামলার শব্দ শুনেছেন।

সুদানের নাগরিকরা আশা আর সংশয়ের মিশ্রণে জেদ্দায় আলোচনার দিকে তাকিয়ে আছেন।

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ সম্প্রতি বলেছে, তারা ২ লাখ মানুষকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশে সুদানিজ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে সমর্থন করার জন্য একটি জরুরি আবেদন শুরু করেছে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।