মিয়ানমারের সহিংসতা আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে শীর্ষে থাকতে পারে

ইন্দোনেশিয়ার লাবুয়ান বাজোতে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস পলিটিক্যাল সিকিউরিটি কমিউনিটি কাউন্সিলের বৈঠকে আসিয়ানের শীর্ষ কূটনীতিকরা ছবি তুলছেন। ( ৯ মে, ২০২৩)

ইন্দোনেশিয়ার লাবুয়ান বাজোতে অনুষ্ঠিতব্য অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে মিয়ানমারে অস্থিরতা প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আসিয়ান জোটের ১০ টি দেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা বুধবার থেকে শুরু হওয়া দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলনের এজেন্ডা চূড়ান্ত করতে মঙ্গলবার রিসোর্ট শহরে জড়ো হন।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী অং সান সু চির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে থাকা মিয়ানমারের দিকে নেতারা সম্ভবত মনোযোগ দেবেন।

অভ্যুত্থানের পর পরই মিয়ানমার জুড়ে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। ফলস্বরূপ সেনাবাহিনীর হাতে তিন হাজারেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত এবং ১৮ হাজারেরও বেশি লোক গ্রেপ্তার হয়। এই অস্থিরতা সামরিক বাহিনী এবং বেশ কয়েকটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে মারাত্মক সংঘাতে পরিণত হয়েছে । বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের জন্য কয়েক দশক ধরে এ লড়াই চলছেই।

মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের সঙ্গে আসিয়ান জোটের করা ৫ দফা পরিকল্পনা আসিয়ান প্রকাশ করে। কিন্তু জান্তা সরকার এখনও এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়নি, যার ফলে আসিয়ান অর্থহীন বলে সমালোচনার মুখোমুখি হয়।

আসিয়ানের প্রতিষ্ঠাসনদ ঐকমত্যের নীতি এবং সদস্যদের বিষয়গুলিতে হস্তক্ষেপ না করার নীতিগুলি প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার কারণে মিয়ানমারের নেতাদের সম্মেলনে যোগ দিতে বাধা দিয়েছে তারা।

মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় শান রাজ্যে বাস্তুচ্যুত বাসিন্দাদের মানবিক সহায়তা প্রদানকারী এবং আসিয়ান দেশগুলোর কূটনীতিকদের বহনকারী একটি গাড়িবহরে রবিবার গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটলে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, “সরকারের সহিংসতা ও আইনের শাসনের প্রতি অবজ্ঞার” ফলেই এই সহিংসতা ঘটেছে। তিনি ঐ ৫ দফা বাস্তবায়ন এবং জনগণের গণতান্ত্রিক প্রত্যাশার প্রতি সন্মান দেখানোর জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহবান জানান।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া।