২০২২ সালে ইরান এবং সৌদি আরবসহ সারা বিশ্বে ফাঁসির সংখ্যা বেড়েছে, বলছে অ্যামনেস্টি

ফাইল ছবি—বিক্ষোভকারীরা “ইরানে ফাঁসি বন্ধ করুন” দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড উচিয়ে ইরানের বিক্ষোভ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছেন (বার্লিন, ২২ অক্টোবর, ২০২২)

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ২০২২ সালে নথিভুক্ত ফাঁসির সংখ্যা গত ৫ বছরের মাঝে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

সংস্থাটি ২০টি দেশে ৮৮৩টি ফাঁসির ঘটনা নথিভুক্ত করেছে, যা এর আগের বছরের তুলনায় ৫৩ শতাংশ বেশি। তবে এ সংখ্যায় চীনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ধারণা করা হয়, সেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষকে ফাঁসি দেওয়া সত্ত্বেও এ সংক্রান্ত প্রকৃত সংখ্যাটি গোপন রাখা হয়।

অ্যামনেস্টি আরও জানিয়েছে, ২০২২ সালে ফাঁসির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পেছনে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার কিছু দেশই মূলত দায়ী।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, “উদ্বেগের বিষয় হল, চীন ছাড়া বাকি বিশ্বের স্বীকৃত ফাঁসির ঘটনাগুলোর ৯০ শতাংশই ঘটছে উল্লেখিত অঞ্চলের ৩ দেশে।” “ইরানের নথিভুক্ত ফাঁসির সংখ্যা ২০২১ এর ৩১৪ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ৫৭৬ হয়েছে। সৌদি আরবে ২০২১ এর ৬৫ থেকে এ সংখ্যা প্রায় ৩ গুণ বেড়ে ২০২২ সালে ১৯৬ হয়েছে—যা গত ৩০ বছরের মাঝে অ্যামনেস্টির নথিভুক্ত সর্বোচ্চ সংখ্যা—আর মিশরে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে ২৪ জনকে।”

যুক্তরাষ্ট্রেও ফাঁসির সংখ্যা ১১ থেকে সামান্য বেড়ে ১৮ হয়েছে। তবে অ্যামনেস্টির কর্মকর্তা শিয়ারা সানজর্জিও ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানান, তিনি বিশ্বাস করেন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে জনমত বলিষ্ঠ হচ্ছে।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে ২০২২ এর তথ্য দেওয়া হলেও ২০২৩ সালেও ইরানে ফাঁসির সংখ্যা বাড়ছে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ২০৯ জন ব্যক্তিকে এ বছর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি এ ধরনের চর্চা পরিহারের আহ্বান জানিয়েছে।