কেনিয়ার শরণার্থী শিবিরে কলেরা মহামারির আশংকা, সতর্ক করল ত্রাণ সংস্থা

কেনিয়া-সোমালিয়া সীমান্তের কাছে দাদাব শরণার্থী শিবিরে সোমালি শরণার্থীদের পরিত্যক্ত মশারির মধ্য দিয়ে দেখা যাচ্ছে। (১৭ জানুয়ারি, ২০২৩)

কেনিয়ার দাদাব শরণার্থী শিবিরের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা বলছেন, চলমান কলেরার প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ মোড় নিচ্ছে। সোমালিয়া থেকে নতুন শরণার্থীদের আগমনের পাশাপাশি ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস ছয় মাস ধরে চলা কলেরার প্রাদুর্ভাবকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ বলে বর্ণনা করেছে।

ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস নামে পরিচিত মেডিসিনস সানস ফ্রন্টিয়ারস, মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, দাদাব ক্যাম্পে কলেরার প্রাদুর্ভাব মহামারী আকার ধারণ করছে। সেখানে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের ক্ষেত্রে জরুরি মনোযোগ প্রয়োজন।

এমএসএফ-এর মেডিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ডাঃ নিত্য উদয়রাজ বলেন, “সেখানকার মানবিক পরিস্থিতি এরই মধ্যে শেষ সীমায় চলে এসেছে। হামের মতো কলেরার প্রাদুর্ভাব আক্ষরিক অর্থেই শেষ স্ট্রোক যা এটিকে ব্রেকিং পয়েন্টে নিয়ে আসবে। মানবিক পরিস্থিতি ইতিমধ্যে অনিশ্চিত। ... আমরা মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাই, ছয় মাস পরেও প্রাদুর্ভাব অব্যাহত রয়েছে। এটা স্বাভাবিক নয়।“

গত নভেম্বরে পূর্ব আফ্রিকার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। কেনিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দাদাব কমপ্লেক্সে তিন লাখেরও বেশি শরণার্থী রয়েছে, যাদের অধিকাংশই প্রতিবেশী সোমালিয়া থেকে এসেছে।

বর্ধিত শরণার্থী সংখ্যা ইতিমধ্যে সীমিত সম্পদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসান মাইয়াকি বলেন, স্যানিটারি পরিস্থিতি ভয়াবহ।

কেনিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রক ক্যাম্পে কলেরার টিকা দিয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়া কলেরার প্রাদুর্ভাব ঠেকানো অসম্ভব।