সুদানের সামরিক বাহিনী নতুন একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে দেশটির আধাসামরিক বাহিনীর সাথে আলোচনা ভেঙে দিয়েছে।
মঙ্গলবার পরের দিকে রয়টার্সের এক বিবৃতিতে আধাসামরিক বাহিনী বলেছে, তারা সেনাবাহিনীর “বারবার লঙ্ঘন সত্ত্বেও” যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সুদানের রাজধানী খার্তুম ১৫ এপ্রিল থেকে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলায় ডুবে গেছে। সেসময় সামরিক নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহান এবং আরএসএফ প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দেগালোর মধ্যকার সম্পর্কে বিদ্বেষ দেখা দেয়ার পরে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে লড়াই শুরু হয়েছিল।
দুই জেনারেল হলেন প্রাক্তন মিত্র যারা একসঙ্গে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়েছিলেন। অভ্যুত্থানে দীর্ঘকালীন নেতা ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত করার পরে দেশ বেসামরিক শাসনের দিকে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করে।
সৌদি নগরী জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের তত্ত্বাবধানে উভয় পক্ষ ক্রমাগত যুদ্ধবিরতি আলোচনায় জড়িত, তবে উভয় পক্ষই বারবার প্রতিটি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। সোমবার মধ্যস্থতাকারীরা বলেছেন, সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ যুদ্ধবিরতি প্রলম্বিত করতে সম্মত হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতিতে সুদানে পাঁচ দিনের জন্য মানবিক সহায়তার অনুমোদন দেবে।
যুদ্ধে শত শত বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে এবং ১৪ লাখের বেশি মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছে। খার্তুমে ঘন ঘন বিদ্যুত বিভ্রাট হচ্ছে, অনেক এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ এবং বেশিরভাগ হাসপাতালে সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।