পাকিস্তানকে সামরিক আদালতে বেসামরিক লোকদের বিচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইসলামাবাদের হাইকোর্টে হাজির হওয়ার পর তিনি স্থানত্যাগের সময় ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীরা তাকে নিয়ে যাচ্ছে। ৩১মে, ২০২৩।

বৈশ্বিক এবং পাকিস্তানে স্থানীয় মানবাধিকারের পক্ষ অবলম্বনকারীরা বুধবার সরকারকে বলেছেন, অগ্নিসংযোগের দায়ে সামরিক আদালতে যে রাজনৈতিক সক্রিবাদীদের বিচার করার কথা তাদের যেন বেসামরিক বিচার ব্যবস্থার অধীনে নিয়ে আসা হয়।

সম্প্রতি পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বেশকিছু সমর্থককে সামরিক ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ইমরান খানের নাটকীয়,স্বল্পস্থায়ী গ্রেপ্তারের কারণে কয়েকদিনের বিক্ষোভ চলাকালে সরকারি এবং প্রতিরক্ষা স্থাপনাগুলোতে হামলার অভিযোগ রয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক বিবৃতিতে বলেছে, বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক বিচার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধীনে পাকিস্তানের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করবে।

বুধবার পাকিস্তানের স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন বলেছে, তারা সামরিক আইনে বেসামরিক লোকজনের বিচার করার সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে। কমিশনের প্রধান হিনা জিলানি বলেছেন, সামরিক আদালতে বিচারের জন্য মামলা বাছাই করার “স্বেচ্ছাচারী পদ্ধতি” সন্দেহভাজনদের ন্যায্য বিচারের সাংবিধানিক অধিকারকে অস্বীকার করে।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ হুমকি দিয়েছেন যে, এমনকি ইমরান খান সামরিক আদালতের বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন। তিনি ৭০ বছর বয়সী বিরোধী এই নেতাকে প্রতিরক্ষা স্থাপনার বিরুদ্ধে সহিংসতার “স্থপতি” বলে অভিযুক্ত করেন।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তার দল সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পিটিআই-এর ওপর চলমান হামলাকে ন্যায্যতা দেয়ার জন্য নাশকতাকারীদের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে।

প্রায় চার বছর ইমরান খানের জোট সরকার ক্ষমতায় থাকার পরে সংসদে অনাস্থা ভোটে ২০২২ সালের এপ্রিলে ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। তিনি সামরিক বাহিনীকে শরীফ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যোগসাজশে সংসদে ভোট গ্রহণের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন।

ওয়াশিংটন ও শরীফ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।