ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক শনিবার ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিষয়ে তাদের দৈনিক গোয়েন্দা হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলেছে, রাশিয়ার ভিডিভি বা এয়ারবোর্ন বাহিনী বাখমুতে "ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা" গ্রহণ করেছে। যদিও ভিডিভির ইউক্রেন হামলার আগের তাদের অভিজাত অবস্থা এখন "অনেক হ্রাস পেয়েছে"। ভিডিভি মোতায়েনের কারণে, পুরো রুশ বাহিনী সম্ভবত বাখমুতে তাদের আভিযানিক চ্যালেঞ্জগুলোর প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে "কম নমনীয়" হবে।
-
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি শুক্রবার বলেছেন, নেটোতে যোগদান হবে ইউক্রেনের জন্য সর্বোত্তম নিরাপত্তা-নিশ্চয়তা। তবে যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগে তার দেশের পক্ষে এই জোটে যোগ দেয়া "অসম্ভব" হবে বলে স্বীকার করেন তিনি। এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট আলার কারিসের সঙ্গে কিয়েভে এক যৌথ ব্রিফিংয়ে জেলেন্সকি বলেন, ইউক্রেনের জনগণ “নেটোর কোনো দেশকে যুদ্ধে টেনে আনবে না”।
-
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার পরমাণু পরিদর্শকদের ভিসা প্রত্যাহার করেছে। তারা নতুন পর্যবেক্ষকের অপেক্ষমান আবেদন প্রত্যাখ্যান করছে। আর, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় রুশ বিমান প্রবেশের জন্য প্রচলিত অনুমোদন (স্ট্যান্ডার্ড ক্লিয়ারেন্স)বাতিল করছে। রাশিয়া, দুই দেশের মধ্যকিার সর্বশেষ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি লঙ্ঘনের কারণে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
-
ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন মস্কোর সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে তার বিরোধকে আরো বাড়িয়ে তুলেছেন। তিনি অভিযোগ করেন যে রুশ বাহিনীকে তার লোকদের উড়িয়ে দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছিলো। তিনি বলেন, রুশ বাহিনিীকে এমন অঞ্চলে ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী মাইন স্থাপন করার আদেশ দেয়া হয়েছিলো, যেখানে ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনী লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে।তিনি আরো বলেন, “শত্রুকে প্রতিহত করার জন্য এসব মাইন স্থাপনের প্রয়োজন ছিলো না। সুতরাং, আমরা ধরে নিতে পারি, এই মাইনগুলো ওয়াগনার বাহিনীর অগ্রগামী ইউনিটগুলোকে রুখে দেয়ার উদ্দেশ্যে স্থাপন করা হয়েছিল।
-
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বলেছেন, ইউক্রেন এখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালাতে প্রস্তুত।
শনিবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ইউক্রেনের নেতা বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমরা সফল হবো।”
জেলেন্সকি আরো বলেন, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে কম সহায়ক প্রশাসন জিততে পারে বলে কিছুটা শঙ্কা বোধ করছেন তিনি।
এদিকে, তার দৈনন্দিন ভাষণে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, আরো উন্নত অভিযানের জন্য আরো শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। আর প্রয়োজনীয় ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ ও ইউক্রেনের এর উৎপাদন দরকার। তিনি বলেন, ইক্রেনীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটি অত্যন্ত জরুরি বিষয়। আমরা সক্রিয়ভাবে, প্রতিদিন একটি যৌথ পেট্রিয়ট ব্যবস্থা ও আধুনিক যুদ্ধ বিমানের যৌথ ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছি।
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফের চেয়ারম্যান, সেনাবাহিনীর জেনারেল মার্ক মিলি বলেছেন, ইউক্রেনের আসন্ন পাল্টা আক্রমণের জন্য যুদ্ধবিমানগুলো প্রস্তুত হবে না।
এই নিবন্ধের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।