গুরুত্বপূর্ণ সামরিক প্রযুক্তির মাধ্যমে “নেতৃত্ব” প্রতিষ্ঠা করছে চীন

বেইজিং-এ গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সামরিক কুচকাওয়াজ চলাকালীন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী সামরিক যানবাহন তিয়েন আন মেন স্কোয়ারের পাশ দিয়ে যাচ্ছে। ১ অক্টোবর, ২০১৯। ফাইল ছবি।

একটি অস্ট্রেলিয়ান চিন্তক গোষ্ঠীর নতুন একটি বিশ্লেষণ অনুসারে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামরিক প্রযুক্তির ওপর চীনের গবেষণা এতটাই এগিয়ে গেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মূল মিত্ররা কখনোই তা ধরতে সক্ষম হবে না।

অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউটের (এএসপিআই) সবচেয়ে বেশি উদ্ধৃত গবেষণাপত্রের শীর্ষ ১০ শতাংশের পর্যালোচনার ভিত্তিতে মঙ্গলবার তারা ফলাফল প্রকাশ করেছে। তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, চীন ২৩টি মূল বিভাগের ১৯টিতে এগিয়ে রয়েছে। এর মধ্যে কিছু বিষয়ের ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এবং তার বাইরেও সামরিক গুরুত্বের জন্য বেইজিং-এর জোর প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, হাইপারসোনিক্সের জন্য ১০টি শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নয়টি চীনে অবস্থিত। সমুদ্রের নিচে অবস্থানকারী ড্রোনগুলোর শীর্ষ ১০টির গবেষণা স্থানও চীনে অবস্থিত।

চীন এবং অন্য সবার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যবধান রয়েছে। হাইপারসোনিক্সের মতো কিছু প্রযুক্তির সাহায্যে চীনে সমস্ত হাই ইম্প্যাক্ট গবেষণার ৭৩ শতাংশের বেশি হয়ে থাকে, যা যুক্তরাষ্ট্র এবং পরবর্তী আটটি দেশের মোট গবেষণার তুলনায় বেশি।

বিশ্লেষণে এমন ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে যে, চীন তার সুবিধার জন্য পশ্চিমা গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা এবং সামরিক কর্মকর্তারা বারবার চীনের সম্প্রসারণশীল সামরিক বাহিনী এবং সম্প্রসারণের ইন্ধন জোগানো উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরি করছে কিন্তু সেগুলো সবই এখনো পরীক্ষারত অবস্থায় রয়েছে বা সেগুলোর কাজ বাকি আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও চীনের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।