আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজিত শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিলো সোমবার।এই আলোচনা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের দৃঢ় মত যে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনাই হলো একটি স্থিতিশীল শান্তিচুক্তির চাবিকাঠি।
বাদালিয়ান (আর্মেনীয় পক্ষ) এর আগে বলেছিলেন, ১২ জুন নির্ধারিত আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনার লক্ষ্য হবে, প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্ক স্থিতিশীল করা এবং একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানো।
দেশ দুটি নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে কয়েক দশক ধরে সংঘাতে জড়িয়ে আছে।অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে অবস্থিত। তবে, সেখানে জাতিগোষ্ঠীগত আর্মেনীয়রা ব্যাপক হারে সংখ্যাগরিষ্ঠ।
ভয়েস অফ আমেরিকার আজারবাইজানি সার্ভিস জানায , শান্তি প্রক্রিয়ার স্থায়িত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেহুন বায়রামভ বৈঠকের বিষয়ে সম্মত হয়েছিলেন।আর আর্মেনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য একটি চুক্তি সম্পাদনের প্রয়োজন বলেও স্বীকার করেছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রকের ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এই সপ্তাহে একটি ব্রিফিং-এর সময় সংবাদদাতাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র “ওয়াশিংটনে আরেক দফা আলোচনার আয়োজন করার জন্য উন্মুখ, কারণ পক্ষগুলো দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”
যদি বৈঠকগুলো পরের সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়, তা হলে তা মে মাসের শুরুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রক আয়োজিত শান্তি আলোচনার পরে অনুষ্ঠিত হবে। তখন ব্লিংকেন বলেছিলেন একটি চুক্তির দিকে “ বাস্তব অগ্রগতি” হয়েছে।
এদিকে লাচিন করিডর-এ আজারবাইজানের অবরোধকে কেন্দ্র করে দুই সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের মধ্যে উত্তেজনা রয়ে গেছে। এটি হচ্ছে একমাত্র স্থলপথ, যার মাধ্যমে আর্মেনিয়া নাগোর্নো-কারাবাখে সরাসরি প্রবেশ করেতে পারে।
ভয়েস অফ আমেরিকা আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান সার্ভিস এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছে।