রাশিয়া শত শত ইরানি ড্রোন পাচ্ছে, সেগুলো উত্পাদনের পরিকল্পনা করছেঃ হোয়াইট হাউজ

ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কার্বি ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে দৈনিক সংবাদ সম্মেলনের সময় কথা বলছেন। ৬ জুন, ২০২৩।

হোয়াইট হাউজের মতে, মস্কো কেবল শত শত ইরানি ড্রোনই পায়নি বরং রাশিয়ার অভ্যন্তরে থেকে সেগুলো তৈরি করতে ইরানের সাথে কাজ করছে- যা এই দুই দেশের মধ্যে ক্রমশ গভীর হয়ে ওঠা সামরিক অংশীদারিত্বের লক্ষণ।

হোয়াইট হাউজ রাশিয়ার আলাবুগা স্পেশাল ইকোনোমিক জোনে ইউএভি (আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল) উৎপাদন কেন্দ্রের পরিকল্পিত অবস্থানের স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করেছে।

কার্বি বলেছেন, বর্তমানে ড্রোনগুলো ইরানে তৈরি করা হয়েছে। এগুলো কাস্পিয়ান সাগর পেরিয়ে ইরানের আমিরাবাদ থেকে রাশিয়ার মাখাচকালাতে পাঠানো হয়েছে এবং তারপরে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ বাহিনী এগুলো ব্যবহার করে।

শুক্রবার বাইডেন প্রশাসন কার্যক্রম এবং অন্যান্য সরকারকে “ইরানের ইউএভি প্রোগ্রাম দ্বারা সৃষ্ট ঝুঁকি এবং ইরানের জন্য উপাদানগুলো সংগ্রহ করতে যে অবৈধ অনুশীলনগুলো ব্যবহার করে তা আরও ভালোভাবে বুঝতে” সহায়তা করার জন্য নতুন একটি পরামর্শ প্রকাশ করছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়া ইউক্রেনের শহর এবং লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলার জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে ড্রোন মোতায়েন করেছে। ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইহানাত শুক্রবার ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, রাশিয়ার “ এটি একটি কঠিন লক্ষ্য কারণ ইউক্রেনের সীমিত বিমান প্রতিরক্ষা সংস্থান রয়েছে।”

যেহেতু তারা ইরানি ড্রোন ক্রয় করে, প্রধানত শাহেদ-১৩৬, রাশিয়া ইরানকে “ক্ষেপণাস্ত্র, ইলেকট্রনিক্স এবং বিমান প্রতিরক্ষাসহ নজিরবিহীন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা প্রদান করেছে,” বলে জানিয়েছেন কার্বি । তিনি আরও বলেন, তেহরান বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত রুশ সামরিক অস্ত্র ক্রয় করতে চাইছে। এর মধ্যে রয়েছে আক্রমণকারী হেলিকপ্টার, রাডার এবং ওয়াইএকে-১৩০ যুদ্ধ প্রশিক্ষক বিমানসহ অন্যান্য সরঞ্জাম।

শাহেদ ড্রোন প্রায়ই আত্মহত্যা বা কামিকাজে ড্রোন নামে পরিচিত। এর পরিচালন পরিসীমা প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার। এটি বিস্ফোরকে ভর্তি, লক্ষ্যবস্তুতে নির্দেশিত হতে পারে এবং ক্ষেপণাস্ত্রের মতো আঘাতে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।

মাইরোস্লোভা গোঙ্গাদজে এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।