ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আঘাত হানার আগে ভারতীয়, পাকিস্তানি উপকূলে উচ্চ সতর্কতা

২০২৩ সালের ১৪ জুন পাকিস্তানের থাট্টার কাছে ঘারোতে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় কাছাকাছি আসার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত তাদের গ্রামগুলো থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে একজন নারী তার সন্তানের যত্ন নিচ্ছেন। তিনি এখন অন্যান্য পরিবারের সাথে একটি বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

ভারত এবং পাকিস্তানের উপকূল অঞ্চলগুলো বুধবার উচ্চ সতর্কতায় ছিল এবং যে এলাকায় ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সেই স্থলভাগ থেকে একদিন আগেই কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার (৯০ মাইল) বেগে একটানা বয়ে চলেছে এবং বৃহস্পতিবার ভারতের গুজরাট রাজ্যের কচ্ছ জেলার জাখাউ বন্দরের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মুম্বাইয়ের উপকূলে ডুবে যাওয়া তিনটি ছেলে এবং গুজরাটে শক্তিশালী বাতাসের কারণে একটি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া একজন নারীসহ ঘূর্ণিঝড়ের সাথে সম্পর্কিত ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিহত হয়েছে। উদ্ধারকারীরা মুম্বাইয়ে ডুবে যাওয়া অন্য একজনকে খুঁজছিলেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন আরব সাগর অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় বৃদ্ধির দিকে যাচ্ছে। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য প্রস্তুতি আরও জরুরি হয়ে উঠেছে।

প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, গুজরাটের প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে বাস্তুচ্যুতদের জন্য খাবার, আশ্রয় এবং চিকিৎসা সুবিধার ব্যবস্থা করতে বলেছেন।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বা তারা স্বেচ্ছায় বিপজ্জনক অঞ্চল থেকে দূরে সরে গেছে।

মঙ্গলবার ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য ৯৭ কোটি ২০ লক্ষ ডলার বাজেট ঘোষণা করেছেন।

২০২১ সালে তোউকতাই নামের মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় এই অঞ্চলে সর্বশেষ মারাত্মক আঘাত হেনেছিল। এই ঘূর্ণিঝড়ে ১৭৪ জন প্রাণ হারায়। ঝড়ের আগে ব্যাপক প্রস্তুতির কারণে এই ঝড়ে মৃতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল।