মেক্সিকোতে অস্ত্র পাচার রোধে নতুন আইন ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কের পূর্বাঞ্চলীয় জেলায় যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি অফিস থেকে সরবরাহ করা এই ছবিতে সিনালোয়া কার্টেল থেকে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জব্দ করা অস্ত্র দেখা যাচ্ছে। ফাইল ছবি।

একটি নতুন আইন যা বন্দুক পাচারের ওপর কঠোরতর শাস্তি আরোপ করে, তা যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটরদের মেক্সিকোতে ড্রাগ কার্টেলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্রের অবৈধ প্রবাহের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।

বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০২২ সালের জুনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাইপার্টিজান সেফার কমিউনিটি অ্যাক্ট স্বাক্ষর করার পর থেকে তারা বন্দুক পাচার এবং মধ্যস্থতাকারী ক্রয়ের বিধানের অধীনে ১০০ জনের বেশি মানুষকে অভিযুক্ত করেছে।

১৯৯৪ সালের ফেডারেল অ্যাসল্ট অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার পর থেকে যুগান্তকারী আইনটি যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুক সুরক্ষা আইনে প্রথম বড় পরিবর্তনগুলো প্রবর্তন করেছে। আইনটি একটি স্বতন্ত্র আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের ষড়যন্ত্রমূলক অপরাধ প্রতিষ্ঠা করেছে। এর অধীনে এ ধরনের অপরাধের জন্য ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার জনসাধারণের ব্যাপক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, তবে মেক্সিকোতে অবৈধ অস্ত্র পাচারের ব্যাপারে সেই নজর নেই।

মেক্সিকোতে কতগুলো অস্ত্র পাচার হয়েছে তা অনিশ্চিত, তবে সংখ্যাটি বিশাল বলে ধারণা করা হয়। একটি অনুমান হলো, বছরে ৫ লাখ অস্ত্র পাচার হয়ে থাকে।

মেক্সিকোর কঠোর বন্দুক আইনের দ্বারা মেক্সিকোতে অস্ত্রের আগমনের একাংশে ইন্ধন দেয়া হচ্ছে। ১ কোটি ২০ লাখের বেশি জনসংখ্যার দেশে শুধুমাত্র সেনাচালিত বন্দুকের দোকান আছে। এটি প্রতি বছরে প্রায় ৫০টি পারমিট ইস্যু করে বলে জানা গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফলশ্রুতিতে, মেক্সিকান ড্রাগ কার্টেল হ্যান্ডগান থেকে শুরু করে সামরিক স্টাইলে হামলার বেশিরভাগ অস্ত্র পায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে। যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহজেই এবং ভাড়া করা লোকদের দ্বারা কেনা যায়। তারা সীমান্তের ওপারে বন্দুক পাচার করে।