১৪ আগস্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর দিন নির্ধারণ করলেন বিচারক

ফাইল ছবি-যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বক্তব্য রাখছেন (১৩ জুন, ২০২৩)

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক ফেডারেল বিচারক আজ মঙ্গলবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর দিন হিসেবে ১৪ আগস্ট নির্ধারণ করেন। তার বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যাওয়ার পর সংবেদনশীল সরকারি নথির অপ-ব্যবস্থাপনার অভিযোগ এসেছে। আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মামলার জটিলতার কারণে খুব সহজেই প্রথম বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে আনা এই ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে পারে।

বেশ কয়েকজন আইনি বিশ্লেষক পূর্বাভাষ দিয়েছে, মামলার জটিলতার কারণে অন্তত ১ বছরের আগে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে না, এবং খুব সম্ভবত ২০২৪ এর নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেও এটা শুরু হবে না।

জাতীয় জরিপ অনুযায়ী, রিপাবলিকান পার্টির পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য ট্রাম্প শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী।

গত সপ্তাহে মায়ামিতে তার বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ গঠনের সময় ট্রাম্প সব ধরনের ফৌজদারি অভিযোগের বিপরীতে নিজেকে নির্দোষ দাবী করেন।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ৩১টি নথি নিজের কাছে রেখে দেওয়ার অভিযোগ আসে, “যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও বিদেশী রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ও অস্ত্র সক্ষমতা; যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক প্রকল্প; সম্ভাব্য সামরিক হামলার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র রাষ্ট্রদের ভঙ্গুরতা; এবং বিদেশীদের কাছ থেকে এ ধরনের আক্রমণের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য প্রতি-আক্রমণ বিষয়ে তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল।”

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা মোট ৩৭টি অভিযোগে আরও দাবি করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এই ৪৫তম প্রেসিডেন্ট তার একজন ব্যক্তিগত সহকারী ওয়াল্ট নাউটার সঙ্গে যোগসাজশে ট্রাম্পের অ্যাটর্নি, এফবিআইর তদন্তকারী দল ও এ মামলার শুনানির কাজে নিয়োজিত গ্র্যান্ড জুরির কাছ থেকে এই নথিগুলো গোপন্ রাখেন। নাউটার বিরুদ্ধে ৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে ফক্স নিউজের কাছে দেওযা এক সাক্ষাৎকারে সোমবার ট্রাম্প জানান, অভিযোগে একটি ঘটনার কথা বলা হয়েছে, যখন তার হাতে গোপন নথি নয়, বরং সংবাদ প্রতিবেদন ছিল।

ট্রাম্প বলেন, “কোনো নথি ছিল না। এটা ছিল ইরান ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে অনেকগুলো প্রতিবেদন।”