সীমান্তে বর্ণবাদী আচরণ আড়াল করছে বলে স্পেন ও মরক্কোর বিরুদ্ধে অ্যামনেস্টির অভিযোগ

স্পেনের ছিটমহল মেলিলাকে মরক্কো থেকে পৃথককারী কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করে অভিবাসন প্রত্যাশীরা স্পেনের মাটিতে পৌঁছালে দাঙ্গা পুলিশ স্থানটি ঘিরে রাখে; (ফাইল ফটো) ২৪ জুন ২০২২।

সাব-সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলের প্রায় দুই হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী এবং শরণার্থী মরক্কো পার হয়ে স্পেনে যাওয়ার চেষ্টার বর্ষপূর্তি শনিবার। এই চেষ্টার সময় কমপক্ষে ৩৭ জন মারা যান। আর, এখনো সন্ধান মেলেনি ৭৬ জনের।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শুক্রবার মরক্কো ও স্পেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, সীমান্তে তারা যে বর্ণবাদী আচরণ করেছে, তা আড়াল করার চেষ্টা করেছে তারা।

এই মানবাধিকার গোষ্ঠী বলেছে যে, স্পেনীয় প্রসিকিউটররা তাদের তদন্ত বন্ধ করে দেয়ার পর, স্পেন একটি স্বাধীন তদন্ত শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছে। তখন প্রসিকিউটররা বলেছিলেন, স্পেনীয় নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা সংগঠিত কোনো অপরাধমূলক অসদাচরণ খুঁজে পায়নি তারা। আর, মরক্কো কখনো তদন্তই শুরু করেনি।

"অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলেছে, " দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ফলে, সীমান্তের মরক্কো অংশে, মরক্কোর কর্তৃপক্ষ, আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের কৃষ্ণাঙ্গদের সীমান্ত-চৌকিতে আশ্রয়-আবেদন করার জন্য স্পেনীয় ভূখণ্ডে পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে।"

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, "মেলিলায় যা ঘটেছে, সে ঘটনা, সীমান্তকে দুর্ভেদ্য করতে এবং ইউরোপে নিরাপত্তা প্রার্থী লোকদের জন্য নিরাপদ ও আইনি পথ সীমিত করতে প্রণীত বর্ণবাদী অভিবাসন নীতির বাস্তব ও মারাত্মক পরিণতির কথাই মনে করিয়ে দেয়।”

তিনি আরো বলেন, মেলিলায় যা ঘটেছে তার মধ্যে যে বর্ণবাদী উপাদান ছিলো তা অস্বীকার করা কঠিন। আর, ইউরোপের সীমান্তে জীবিত, নিখোঁজ বা মৃত কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের সাথে যেভাবে অমানবিক আচরণ করা হয় তাও এড়িয়ে যাওয়া কঠিন।"

সংস্থাটি বলেছে যে, এই ঘটনায় নিহত ২২ জনের মরদেহ এখনো মরক্কোর একটি মর্গে রয়েছে।