আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের আহ্বান প্রত্যাখান করল পাকিস্তান

হোয়াইট হাউজের ইস্ট রুমে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের ব্যবসায়িক খাতের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলছেন (২৩ জুন, ২০২৩, ওয়াশিংটন)

আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে যৌথ আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। ইসলামাবাদ এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বলেছে এটি, “অযাচিত, একমুখী ও বিভ্রান্তিকর।”

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও যুক্তরাষ্ট্র সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আলোচনার পর প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে উভয় পক্ষ “আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসীদের বিকল্প যোদ্ধা হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা” জানায়।

বিবৃতিতে পাকিস্তানকে “তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো ভূখণ্ডকে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য যাতে ব্যবহার করা না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য তাৎক্ষনিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।”

উত্তরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রক এ বিবৃতিকে “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ” বলে উল্লেখ করে, এবং জানায়, “সন্ত্রাসবাদ দমনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের পারষ্পরিক ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার” বিবেচনায় এ ধরনের বক্তব্যে তারা “বিস্মিত।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রক লিখিত বক্তব্যে জানায়, “এই বিবৃতিতে দেখা যাচ্ছে সন্ত্রাসবাদের বহুল বিস্তার প্রতিহত করতে যে ধরনের সহযোগিতামূলক মনোভাব অত্যন্ত জরুরি, তাকে ভূরাজনৈতিক বিবেচনার বেদীতে বলিদান করা হল।”

মন্ত্রক একই সঙ্গে ভারতকে “সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক” বলে অভিহিত করে, এবং জানায় দেশটিতে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘণের ঘটনাগুলো থেকে মনোযোগ সরাতে “নিয়মিত সন্ত্রাসবাদের জুজু”ব্যবহার করা হয়।

ভারতের মুম্বাই ও পাঠানকোটে হামলার ঘটনার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে জানানো হয়, উভয় পক্ষ “জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সংগঠনদের বিরুদ্ধে সুসংহত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান পুনরাবৃত্তি করছে, যার মধ্যে আছে আল-কায়েদা, আইসিস, দায়েশ [ইসলামি স্টেট, আইএস ও আইএসআইএল নামেও পরিচিত], লস্কর-ই-তাইয়্যিবা, জাইশ-ই-মোহাম্মেদ ও হিজবুল-মুজাহিদীন।”

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেন, বৈশ্বিক শক্তিরা সন্ত্রাসবাদের বিষয়টির দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন না, কারণ ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ তাদেরকে “অন্যমনস্ক” করে রেখেছে।