যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র পরিচালক উইলিয়াম বার্নস জুনে ইউক্রেনে একটি গোপন সফর করেন। বার্নস সেখানে ইউক্রেনের প্রতি-আক্রমণের কৌশল নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি ও গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। শুক্রবার এসব গোপন বৈঠকের তথ্য জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও রুশ প্রতিরক্ষা অবকাঠামোর বিরুদ্ধে রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনীর নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের আগে এই গোপন আলোচনাগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি-আক্রমণ ব্যর্থ হওয়ায়, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে কোনো উদ্বেগ সৃষ্টি করেনি।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা ওয়াশিংটন ও পশ্চিমা দেশগুলোকে আরো অত্যাধুনিক অস্ত্র দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে রুশ প্রতিরক্ষা অবস্থানগুলো ভেদ করার ক্ষেত্রে আরো সুবিধা পাওয়া যায়। আর, ইউক্রেনীয় সেনারা আরো ভূখণ্ডের দখল ফিরে পেতে পারে।
তবে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা আত্মবিশ্বাসী যে ইউক্রেনের প্রতি-আক্রমণে সাফল্য আসবেই। তবে উল্লেখযোগ্য অর্জন পেতে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হতে পারে।
শুক্রবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি বলেন, “কাগজে-কলমে যুদ্ধ ও প্রকৃত যুদ্ধ এক নয়।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বক্তব্য দেয়ার সময় জেনারেল মিলি আরো বলেন, “মানুষের ধারণার চেয়ে এটি ধীরে চলছে, এটা আমাকে একটুও বিস্মিত করেনি। তিনি জানান, ইউক্রেনীয় বাহিনী “অবিচলভাবে ও কার্যকরভাবে অগ্রসর হচ্ছে।”
মিলি আরো বলেন, “এখানে আরো জটিলতা দেখা দেবে। এটা দীর্ঘদিন ধরে চলবে। আর এতে প্রচুর রক্তক্ষয় হবে। আর, এ বিষয়গুলো নিয়ে কারো মনে কোনো বিভ্রম থাকা উচিৎ নয়”।
ভয়েস অফ আমেরিকার হোয়াইট হাউজ ব্যুরো প্রধান প্যাটসি ইউদাকুসওয়ারা এ প্রতিবেদনে অবদান রেখেছেন।প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।