সোমবার হংকং’এর পুলিশ স্ব-নির্বাসিত গণতন্ত্রপন্থী আটজন কর্মীর জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, তাদেরকে জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করলে প্রতি জনের জন্য ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩৫ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তারা হলেন, নাথান ল, আনা কওক, ফিন লাউ, ক্রিস্টোফার মুং সিউ-টাট, এলমার ইউয়ান গং-ই এবং কেভিন ইয়াম; এর সাথে প্রাক্তন আইনপ্রণেতা টেড হুই এবং ডেনিস কোওক। এদেরকে বিদেশী শক্তির সাথে যোগসাজশ এবং বিচ্ছিন্নতার উস্কানি দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
২৫০ জনের বেশি গ্রেপ্তার
জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের তৃতীয় বার্ষিকীর কয়েকদিন পর পরোয়ানাগুলো জারি করা হয়।
হংকং-এর ২০১৯ সালের সরকার বিরোধী বিক্ষোভের পরে বেইজিং দ্বারা আরোপিত ২০২০ সালের আইনটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী বা ধ্বংসাত্মক বলে বিবেচিত কাজের জন্য বা সন্ত্রাসবাদ বা বিদেশী শক্তির সাথে যোগসাজশ করার জন্য সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তির কথা বলা আছে।
আইন লঙ্ঘনের সন্দেহে ২৫০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার কর্তৃপক্ষ বলেছে, ৭৯ জনকে অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। রয়টার্স একথা জানায়।
বেইজিং আইনটিকে সমর্থন করে। ব্যাপক নাগরিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে শহরটিকে স্থিতিশীল করার প্রয়োজনীয়তা বলে অভিহিত করে।
প্রত্যর্পণের সম্ভাবনা নেই
নিরাপত্তা আইন বলে, আইনটি হংকং-এর বাসিন্দা এবং চীনা ভূখণ্ডের বাইরে অবস্থানকারী বা বাইরের অনাবাসী উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তা কুং পাও জুন মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, বেইজিং বিদেশে পলাতকদেরকে ধরতে ইন্টারপোলের কাছে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার অনুরোধ করতে পারে।
সেই সহায়তা দেয়া হবে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। নিরাপত্তা আইনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়া হংকং-এর সাথে প্রত্যার্পণ চুক্তি স্থগিত করেছে।