স্বাধীন সাংবাদিকতাকে টিকিয়ে রাখতে মিয়ানমারের গণমাধ্যম লড়াই করছে

ইয়াঙ্গুনে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সমাবেশে দাঙ্গা পুলিশের বাধার মুখে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারী এবং একজন সাংবাদিক দৌড়ে পালাচ্ছেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১। ফাইল ছবি।

একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ দখল করার পর থেকে মিজিমা নিউজ টিম মানসম্পন্ন সাংবাদিকতা করার পাশাপাশি কীভাবে টিকে থাকা যায় তার ওপর মনোনিবেশ করেছে।

জান্তা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মিজিমা সহ ১২টির বেশি নিউজ আউটলেটের লাইসেন্স বাতিল করেছে এবং ১৭০ জনের বেশি সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে। বিপজ্জ্বনক পরিবেশের মধ্যেই সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলনের সাথে সামরিক বাহিনীর লড়াই নিয়ে গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করছে।

এই প্রেক্ষাপট সত্ত্বেও মিজিমা এখনো বার্মিজ এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় খবর প্রকাশ করছে।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সাংবাদিকদের কাজ করার জন্য জান্তার সাথে নিবন্ধিত হতে হবে। কিন্তু এটি করার জন্য সাংবাদিকদেরকে অবশ্যই ব্যক্তিগত বিবরণ প্রদান করতে হবে। এই পদক্ষেপের কারণে অনেকে গ্রেফতারের ভয়ে সতর্ক থাকে।

মিজিমার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান সম্পাদক সোয়ে মিন্ট বলেছেন, জান্তা ক্ষমতায় থাকাকালীন তার টিমের স্বীকৃতির জন্য আবেদন করার কোনো ইচ্ছা তার নেই।

মিজিমার একজন ভিডিও সাংবাদিক হান হতু জাও এর সাথে যোগ করেন যে, মিয়ানমারে “সাংবাদিকদেরকে আর প্রকাশ্যে প্রতিবেদন করার অনুমতি দেয়া হয় না।”

তিনি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “যদি তারা আমাদের খুঁজে পায়, তারা আমাদের গ্রেফতার এবং হত্যা করবে।”

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ জার্নালিস্টের মতে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কমপক্ষে ১৭৬ জন সাংবাদিক গ্রেফতার এবং চারজন নিহত হয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসেবে কমপক্ষে ৫০ জন সাংবাদিক এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

এর আগে মিয়ানমারের সামরিক মুখপাত্র গণমাধ্যমকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে- এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, “যদি তারা তাদের গণমাধ্যম সংক্রান্ত কাজ করে তবে [সাংবাদিকদের] গ্রেফতার, অভিযোগ বা জেলে রাখার কোনো কারণ নেই”।

তিনি এর আগেও গণমাধ্যমের পরিবেশ সংক্রান্ত উদ্বেগ নাকচ করে দিয়ে বলেছিলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাংবাদিক এবং বিরোধী শক্তিরা “ভুয়া খবর” ছড়াচ্ছে।