ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য চীনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তবে এটি এমন একটি চিত্র তৈরি করতে পারে যে, এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব হ্রাস পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বেইজিং আশাবাদী হলেও এটি প্রায় এক দশক ধরে স্থগিত আলোচনাকে পুনরুত্থিত করতে পারে।
মার্চ মাসে চীন সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যকার একটি শান্তিচুক্তির মধ্যস্থতা করে যা ২০১৬ সালে বিচ্ছিন্ন হওয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করে। এখন বেইজিং ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্থাপন করতে চাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এ ধরণের আলোচনা ২০১৪ সাল থেকে থমকে আছে।
২৭ জুন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, বেইজিং তাকে ওই মাসে সরকারি সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তারিখ তখনো ঠিক হয়নি।
বাইডেন প্রশাসনের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ২০১৮ সালের হত্যাকাণ্ডের অনুমোদনের জন্য অভিযুক্ত করায় সৌদি আরব-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল। সৌদি আরব থেকে পালিয়ে আসা ভিন্নমতালম্বী সাংবাদিক জামাল খাসৌগজি ওয়াশিংটন পোস্টেরে প্রাবন্ধিক হিসেবে সৌদি সরকারের সমালোচনা অব্যাহত রেখেছিলেন।
জুন মাসে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ যখন বেইজিং-এ ছিলেন তখন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আব্ববাসকে ইসরাইলের সাথে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেন। শি বলেছেন, তিনি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান সমর্থন করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতায় বেইজিং-এর আগ্রহ তাদের তেল আমদানির প্রয়োজনীয়তার এবং তাদের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করার আগ্রহ দ্বারা অনুপ্রাণিত। বেল এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত একটি বিশাল অবকাঠামো প্রকল্প।