মালির বাহিনী এবং ভাগনার গ্রুপ মালিতে নৃশংসতা চালিয়েছেঃ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

ফরাসি সামরিক বাহিনীর তারিখবিহীন এই ছবিটিতে মালিতে (ডানদিকে) তিনজন রুশ ভাড়াটে সেনাকে দেখা যাচ্ছে। (এপির মাধ্যমে ফরাসি সেনাবাহিনী)। ফাইল ছবি।

সোমবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক বিবৃতিতে বলেছে, মালির সশস্ত্র বাহিনী এবং “আপাতদৃষ্টিতে” ভাগনার গ্রুপের ভাড়াটে সেনারা “২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে মালির কেন্দ্রীয় অঞ্চলে কয়েক ডজন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা এবং গুম করেছে।”

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, মালির বাহিনী এবং ভাগনার গ্রুপ “বেসামরিক সম্পত্তি ধ্বংস ও লুট করেছে এবং একটি সেনা ক্যাম্পে বন্দীদের নির্যাতন করেছে।”

অধিকার গোষ্ঠীটি বলেছে, এটি ৪০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে যারা ঘটনাগুলো সম্পর্কে জানে। এর মধ্যে রয়েছে “অত্যাচারের ২০ জন প্রত্যক্ষদর্শী, ভুক্তভোগীদের পরিবারের তিনজন সদস্য, দুজন সম্প্রদায়ের নেতা, পাঁচজন মালিয়ান সুশীল সমাজের কর্মী, আন্তর্জাতিক সংস্থার আটজন প্রতিনিধি এবং দুজন সাহেল রাজনৈতিক বিশ্লেষক।”

মালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আওদুলায়ে ডিওপ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে মালি কর্মকর্তাদের এবং এমআইইউএসএমএ-এর ১৫ হাজার সদস্যের মধ্যকার আস্থার সংকটের কারণে মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনী বা এমআইইউএসএমএ-কে “অবিলম্বে” প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন।

নিরাপত্তা পরিষদ মালিতে এমআইইউএসএমএ-এর উপস্থিতি শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তবে এর কর্মীরা সেখানে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করবে।

মালিতে এমআইইউএসএমএ-এর উপস্থিতির আসন্ন সমাপ্তির প্রেক্ষাপটে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ডেপুটি আফ্রিকা ডিরেক্টর ক্যারিন ক্যানেজা নান্টুল্যা বলেছেন, “আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং ইকোনোমিক কমিউনিটি অফ ওয়েস্ট আফ্রিকানস স্টেটস (ইকোওয়াজ)-এর উচিত মালিয়ান সশস্ত্র বাহিনী এবং আপাত মিত্র ভাগনার গ্রুপের যোদ্ধাদের গুরুতর অত্যাচারের বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করা এবং এই দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের ওপর এবং মালিয়ান কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ বাড়াতে হবে।”