শ্রীলঙ্কার লাখ লাখ মানুষ এখনো অর্থনৈতিক মন্দার কষ্ট অনুভব করে

শ্রীলঙ্কার কলম্বোর একটি বাজার এলাকা। ২১ মার্চ, ২০২৩।

জ্বালানির জন্য লাইন, খাবারের দোকানে খালি তাক, রাস্তায় বিক্ষুদ্ধ প্রতিবাদ - গত বছর শ্রীলঙ্কা যখন দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল তখন দেশটিতে এগুলো সাধারণ দৃশ্য ছিল।

এখন জ্বালানি স্টেশনগুলোর বাইরে দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে না, বাজারগুলোতে আবার খাবার পাওয়া যাচ্ছে এবং রাজধানী কলম্বোর রাস্তাগুলো শান্ত-সমাহিত।

শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক পতনের এক বছর পর নতুন একটি সরকার এসেছে , দ্বীপরাষ্ট্রটি সবচেয়ে খারাপ সংকট অতিক্রম করেছে। কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক দুর্দশা শেষ হতে এখনো অনেক সময় বাকি।

অনেকের জন্য এখনো দ্বিধার ব্যাপার হলো, এখন খাবার পাওয়া গেলেও তা ক্রয়সীমার বাইরে রয়ে গেছে।

সমস্ত মৌলিক বিষয়গুলোর খরচ- খাদ্য, জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং ঔষধের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, নিম্ন আয়ের লাখ লাখ মানুষের জন্য এটি বিশাল একটি চাপ।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলছে, গত বছর দেশটি যে সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল তা প্রশমিত হয়েছে কিন্তু তা দূর হয়নি। ডব্লিউএফপি-এর মতে, গত বছরের প্রায় এক-চতুর্থাংশ জনসংখ্যার তুলনায় এখন প্রায় ১৭ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন। যার অর্থ, ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশে ৪০ লাখ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তার সম্মুখীন।

তবে কিছু খাতে পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। পর্যটকরা দেশের আদিম সমুদ্র সৈকতে ফিরে আসতে শুরু করেছে, একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে চাকরি ফিরিয়ে এনেছে। এই খাত দীর্ঘদিন ধরে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির মেরুদণ্ড হয়ে আছে

বিশ্লেষকরা বলছেন, সংস্কারগুলো আরও কষ্ট বাড়াবে এবং জনগণকে অসন্তুষ্টির দিকে নিয়ে যাবে, শ্রীলঙ্কাকে অবশ্যই কাজ করে যেতে হবে।

এর মানে, লাখ লাখ মানুষের জন্য অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের অস্থায়ী লক্ষণগুলো অদূর ভবিষ্যতে সামান্যই স্বস্তি আনবে।