মাইক্রোচিপ রপ্তানিতে জাপানের নিষেধাজ্ঞা আরোপ, ক্ষুব্ধ চীন

ফাইল - বেইজিং-এ আন্তর্জাতিক হাই টেক এক্সপো-তে একটি চাইনিজ মাইক্রোচিপ দেখা যাচ্ছে। ১৭ মে ২০১৮।

জাপান এই সপ্তাহে উন্নত মাইক্রোচিপ প্রযুক্তির উপর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য চীন, এমনটাই ব্যাপকভাবে মনে করা হচ্ছে। অত্যাধুনিক সেমিকন্ডাক্টরের দুই প্রধান উৎপাদক দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও নেদারল্যান্ড দ্বারা আরোপিত সাম্প্রতিক বিধিনিষেধের প্রতিফলন ঘটিয়েছে জাপান।

টোকিও ২৩ ধরনের সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তি তালিকাভুক্ত করেছে যা এখন রপ্তানি বিধিনিষেধের অধীন। ২৩ জুলাই থেকে এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উন্নত মাইক্রোচিপ উৎপাদন সরঞ্জাম যেমন সিলিকন ওয়েফারে ফিল্ম জমা করা যন্ত্র, চিপগুলির ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সার্কিটগুলি বের করে দেয় এমন ডিভাইস।

টোকিওতে জাপান ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের বিশ্লেষক ইয়োশিয়াকি তাকায়ামা বলেছেন, এই নিয়ন্ত্রণ উন্নত চিপ তৈরির ক্ষেত্রে চীনের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করবে।

বুধবার ভিওএ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাকায়ামা বলেন, "জাপানের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার পরিপূরক কারণ অত্যাধুনিক চিপ তৈরি করার ক্ষমতসম্পন্ন সংস্থার সংখ্যা অত্যন্ত সীমিত। জাপানি পদক্ষেপ চীনের জন্য কেবল উন্নত চিপ আমদানি করাই নয়, সেই সঙ্গে এই চিপ তৈরি করাও কঠিন করে তুলবে।"

তিনি যোগ করেছেন যে, বেইজিং অত্যাধুনিক সেমিকন্ডাক্টর তৈরির পরিবর্তে মাঝারি নিম্নমানসম্পন্ন সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের দিকে মনোনিবেশ করে তার সেমিকন্ডাক্টর সংক্রান্ত কৌশল পরিবর্তন করছে বলে মনে হচ্ছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং ২৪ জুলাই সাংবাদিকদের বলেন, চীনের গুরুতর উদ্বেগকে উপেক্ষা করে জাপান রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তৈরি বাস্তবায়নে জোর দিয়েছে। এটি স্পষ্টভাবে চীনকেই লক্ষ্য করে।আমরা এই পদক্ষেপের প্রভাব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব এবং দৃঢ়ভাবে আমাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করব।

তাকায়ামা বলেন, প্রতিশোধ নিতে জাতীয় নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে চীন মে মাসে আমেরিকান সংস্থা মাইক্রন থেকে সেমিকন্ডাক্টর আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। জাপানের কিছু সংস্থাও আশঙ্কা করছে যে, বেইজিং তাদের আমদানি সীমিত করতে চাইবে।