বিচার বিভাগের এক তদন্তে , ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেয়ার প্রচেষ্টা চালানোর জন্য ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তাঁর সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে সহিংস দাঙ্গা শুরু করে।
তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ঠকানোর ষড়যন্ত্র এবং সাক্ষীদের প্রমাণ বিনষ্ট করা।
এই সাবেক প্রেসিডেন্ট যখন নতুন করে ২০২৪ সালে হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করতে চাইছেন তখন এই অভিযোগ হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে তৃতীয় ফৌজদারি মামলা। জো বাইডেনের কাছে চুড়ান্ত পরাজয়ের পর নিজেকে ওই পদে বহাল রাখার প্রচেষ্টা চালানো এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর ব্যাহত করতে ট্রাম্পের পরিকল্পনা সম্পর্কে ফেডারেল প্রশাসনের দীর্ঘ তদন্তের পর এই অভিযোগ উঠে আসলো।
ফেডারেল প্রসিকিউটাররা বলছেন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ট্রাম্প “ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন” আর তাঁর এই ষড়যন্ত্রের লক্ষ্য ছিল, “যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের মূল কর্মকান্ড, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহ, গণনা করা ও প্রত্যয়ন করা”।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট জজ, তানিয়া চুটকানের আদালতে ট্রাম্পের হাজিরা দেয়ার কথা।
ট্রাম্পের পক্ষে প্রচার অভিযানকারীরা এক বিবৃতিতে বিচার বিভাগের সমালোচনা করে , “ উইচ হান্টিং” বলে অভিহিত করেন।
এই ফৌজদারি মামলাটি এমন এক সময়ে আসলো যখন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য তাঁর দলের মনোনয়ন চাইছেন। অতএব এটা নিশ্চিত যে ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকরা – এমন কী তাঁর কোন কোন প্রতিপক্ষও এই অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বিষয় বলে নাকচ করে দেবেন।
এই অভিযোগে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দু মাস পরের ঘটনার উপর আলোকপাত করা হয়েছে যাতে ট্রাম্প তাঁর পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকার করেন এবং প্রচার চালান যে তাঁর বিজয় চুরি করা হয়েছে। আর এই গোলোযোগে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গা শুরু হয় যখন ট্রাম্পের প্রতি বিশ্বস্ত ভবনটিতে জোর করে প্রবেশ করে পুলিশকে আক্রমণ করে এবং কংগ্রেসে ভোট গণনাতে বিঘ্ন ঘটায়।
নির্বাচন ও দাঙ্গার মধ্যবর্তী সময়ে ট্রাম্প স্থানীয় কর্মকর্তাদের তাদের নিজেদের অঙ্গ রাজ্যে ভোটের ফলাফল বাতিল করতে এবং তদানীন্তন ভাইস প্রেসিডেন্টকে ভোট সত্যায়িত না করার জন্য চাপ দেন। তিনি মিথ্যা দাবি করেন যে ভোট চুরি করা হয়েছে তবে এই অভিযোগ বিচারকরা বার বার নাকচ করে দেন।