ইয়াজিদিদের বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেটের নৃশংসতাকে “গণহত্যা” হিসেবে স্বীকৃতি দিল ব্রিটেন

ফাইল ছবি - ইরাকের সিঞ্জারের একটি কবরস্থানে শোকাহতরা ইয়াজিদি নিহতদের দেহাবশেষ কবর দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। (৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১)

২০১৪ সালে ইরাকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের দ্বারা ইয়াজিদি সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।

আইএসআইএস বা দায়েশ নামে পরিচিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির সংঘটিত অপরাধের নবম বার্ষিকীর কয়েক দিন আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ব্রিটেনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তারিক আহমাদ এক বিবৃতিতে বলেন, “নয় বছর আগে দায়েশের হাতে ইয়াজিদি জনগোষ্ঠী ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং এর পরিণতি আজও ভুগতে হচ্ছে। যাদের জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা গুরুত্বপূর্ণ।“

ইয়াজিদিরা কুর্দি ভাষী ধর্মীয় সংখ্যালঘু, যাকে আইএস চরমপন্থীরা কাফের বলে মনে করে।

২০১৪ সালের আগস্টে বিশ্বের বৃহত্তম ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের একসময়কার আবাসস্থল সিঞ্জারে ব্যাপক হামলা চালায় আইএস। ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় এই শহরে হামলায় অন্তত পাঁচ হাজার ইয়াজিদি নিহত হয়। যাদের বেশিরভাগই ছিল পুরুষ ও শিশু। আই এস হাজার হাজার ইয়াজিদি নারী এবং শিশু অপহরণ করে এবং তাদের যৌন দাস এবং শিশু যোদ্ধা হিসাবে ব্যবহার করে।

ইয়াজিদি অ্যাক্টিভিস্টরা ব্রিটেনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসকে সামরিকভাবে পরাজিত করার কয়েক বছর পর এটি তাদের দুর্দশা লাঘবে সহায়তা করতে পারে।

২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাস করে স্বীকার করে, আইএস ইয়াজিদি ও খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ইরাক ও সিরিয়া গণহত্যা এবং ত্রাণ ও জবাবদিহিতা আইন পাস করে।