জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো বলছে, মাতৃদুগ্ধ শিশুদের স্বাস্থ্যকর জীবন শুরু করে

২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সোমালিয়ার ডলোর উপকণ্ঠে বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য একটি শিবিরে একজন সোমালি নারী তার সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন। ২০২৩ সালের আগস্টে বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ শুরু হয়েছে। ফাইল ছবি।

মঙ্গলবার শুরু হয়েছে বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ। শিশু অধিকার কর্মীরা শিশুদের জীবনের স্বাস্থ্যকর সুচনা এবং তাদের জীবন বাঁচানোর সর্বোত্তম উপায় হিসেবে মাতৃদুগ্ধের পক্ষে প্রচারের আহ্বান জানিয়েছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফ বলেছে শুধুমাত্র মাতৃদুগ্ধ পান করানো প্রতি বছর ৫ বছরের কম বয়সী ৮ লাখ ২০ হাজারের বেশি শিশুর জীবন বাঁচাতে পারে।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো বলেছে, তারা বুকের দুধ খাওয়ানোর সুবিধাগুলো সম্পর্কে বার্তা প্রচার করছে। তারা উল্লেখ করে, “বিগত দশকে শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানোর হার বিশ্বব্যাপী ১০ শতাংশ বেড়ে ৪৮ শতাংশে পৌঁছেছে।”

সবচেয়ে বেশি সুবিধা অর্জনের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মায়েদের প্রথম ছয় মাস শিশুদেরকে শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়, এরপরে সাথে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর কথা বলে। ২ বছর বা তার বেশি বয়স পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে বলে।

গবেষণায় দেখা গেছে, এই ধরনের শিশুদের অতিরিক্ত ওজন বা স্থূল হবার সম্ভাবনা কম, বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষায় তারা ভালো করে এবং প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় জীবনে তুলনামূলকভাবে বেশি আয় করে।

বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ উপলক্ষে ডব্লিউএইচও এবং ইউনিসেফ এই ব্যাপারে সম্মত হয়েছে যে, কর্মক্ষেত্রে ব্যাপক স্তন্যপান সহায়তা বিশ্বব্যাপী বুকের দুধ খাওয়ানোর হারকে বৃদ্ধি করবে। তারা সরকারগুলোর কাছে সমস্ত মা এমনকি যারা অনানুষ্ঠানিক কর্মক্ষেত্রে কাজ করেন, তাদের জন্যও অন্তত ১৮ সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন বৈতনিক ছুটি নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছিল।

এজেন্সিগুলো নতুন মায়েদের কর্মক্ষেত্রে নিয়মিত বিরতি দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে, যাতে মায়েরা কাজে ফিরে যাওয়ার পরেও বাচ্চাদেরকে বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে পারেন।