রুশ নৌ-ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা করেছে দুটি ইউক্রেনীয় ড্রোন, বলছে রাশিয়া

রাশিয়ার নভোরোসিয়স্কএর কাছে ইউক্রেনীয় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর রুশ নৌবাহিনীর অবতরণ-জাহাজ ওলেনেগর্স্কি গোর্নিয়াক-কে তীরের দিকে টেনে নেয়া হচ্ছে; ৪ আগস্ট ২০২৩।

রাশিয়া শুক্রবার বলেছে যে, দুটি ইউক্রেনীয় নৌ-ড্রোন নোভোরোসিস্ক-এ তাদের কৃষ্ণসাগরীয় নৌ ঘাঁটিতে রাতভর হামলার চেষ্টা করেছে। দুটি সূত্র

রয়টার্সকে বলেছে যে এই ঘটনায় একটি রুশ যুদ্ধজাহাজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এই স্থানে অবস্থিত তেল টার্মিনালের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কাস্পিয়ান পাইপলাইন কনসর্টিয়ামের মতে, এই বেসামরিক বন্দরের মাধ্যমে জাহাজ চলাচল কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিতে হয়েছে।এই বন্দর দিয়ে শস্য রপ্তানি করা হয় এবং বৈশ্বিক তেল সরবরাহের ২ শতাংশ পরিচালিত হয়।

রাশিয়া জানিয়েছে যে দুটি ড্রোনই ধ্বংস করা হয়েছে।রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের সময়ে, এই প্রথম কোন রুশ বানিজ্যিক বন্দরকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হলো।

এদিকে, এই সপ্তাহান্তে সৌদি আরব আয়োজিত বৈঠকে, শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। ইউক্রেন ও তার মিত্ররা এই শান্তি আলোচনার জন্য বিশ্বব্যাপী সমর্থন জোগাড়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ইউক্রেন ও পশ্চিমা কূটনীতিকরা আশা করছেন, সৌদি আরবের বন্দর নগরী

জেদ্দায় অনুষ্ঠেয় বৈঠক, যে কোনো ধরণের শান্তিচুক্তি বিষয়ক মূল নীতিতে কর্মকর্তাদের একমত হওয়ার সুযোগ করে দেবে; যা ইউক্রেনে চলমান রাশিয়ার যুদ্ধের অবসান ঘটাবে।

এই অধিবেশনে প্রায় ৪০টি দেশের প্রতিনিধিত্ব করার কথা রয়েছে। তবে চীন এই দেশগুলোর মধ্যে থাকছে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। জুন মাসে, ডেনমার্কে অনুষ্ঠিত আগের দফার আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাতে চীন অংশ নেয়নি।

শুক্রবার অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা। আর, মূল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে শনি ও রবিবার।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বুধবার বলেছেন, তিনি আশা

করছেন এই সপ্তাহান্তের আলোচনা,আগামী শরৎকালে বিশ্ব নেতাদেরকে একটি

বৃহত্তর "শান্তি শীর্ষ সম্মেলনে"র দিকে নিয়ে যাবে।

রাশিয়া, এই সপ্তাহান্তের আলোচনায় এবং এই শরতে জেলেন্সকির পরিকল্পিত শীর্ষ সম্মেলনেও যোগ দেবে না।

পশ্চিমা সমর্থকদের বাইরে, ব্রাজিল, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তুরস্কসহ

দক্ষিণের উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছ থেকে আরও কুটনৈতিক সমর্থন অর্জনের আশা করছে ইউক্রেন।