সামরিক চুক্তি প্রত্যাহার করেছে নিজার অভ্যুত্থানের নেতারা; নড়বড়ে আলোচনা প্রচেষ্টা

অভ্যুত্থানের নেতাদের দ্বারা ঘোষিত নিজারের নতুন রাষ্ট্রপ্রধান জেনারেল আবদুরাহমানে তিয়ানি নিয়ামেতে মন্ত্রীদের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসেন; (ফাইল ফটো) ২৮ জুলাই ২০২৩।

ফ্রান্সের সাথে সামরিক সহযোগিতা চুক্তি প্রত্যাহার করেছে নিজারের সামরিক জান্তা। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ বজুমকে মুক্তি ও পুনর্বহাল করার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেয় পশ্চিম আফ্রিকার প্রতিনিধিরা। তারা উদ্যোগ নেয় অভ্যুত্থানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের। এবিষয়ে অভ্যুত্থানের নেতারা ব্যাপক শৈথিল্য দেখান। আর, সামরিক সহযোগিতা চুক্তি প্রত্যাহার করে নেয়।

পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক ব্লক ইকোওয়াস, মোহামেদ বজুমকে ক্ষমতায় পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য অভ্যুত্থান নেতাদের রবিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছে। আর সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, শেষ অবলম্বন হিসেবে তারা সামরিক হস্তক্ষেপ করতে পারে।

পাল্টা জবাবে জান্তা নেতারা বলেছেন, বল প্রয়োগের জবাব দেয়া হবে বল প্রয়োগের মাধ্যমে।

এই সতর্কবার্তা এসেছে “স্থগিত বন্দুত্বপূর্ণ” দেশগুলোর বিষয়ে নেয়া সিদ্ধান্তের ব্যতিক্রম হিসেবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বুরকিনা ফাসো এবং মালি সামরিক অভ্যুত্থানের কবলে পড়ে। এই দেশগুলোকেই উদাহারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

দেশগুলোর জান্তারা সতর্ক করেছে, নিজার-এ কোনো সামরিক হস্তক্ষেপ হলে, তা তাদের বিরুদ্ধে “যুদ্ধ ঘোষণার” সমতুল্য বলে বিবেচিত হবে।

নিজারের প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রাক্তন প্রধান তচিয়ানি গত সপ্তাহে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে বজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করেন এবং নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন।

তচিয়ানি বলেন, ইসলামপন্থীদের একটি বিদ্রোহের ফলে দেশে চলমান নিরাপত্তাহীনতার কারণে ক্ষমতা দখলের প্রয়োজন দেখা দেয়।

আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন এন্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্টের বৃহস্পতিবার প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, নিজারে সহিংসতার ঘটনা আগের ছয় মাসের তুলনায় ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এই অভ্যুত্থানের নিন্দা করেছে। বলেছে, অভ্যুত্থান প্রতিহত করে আগের পরিস্থিতিতে ফিরে যাওয়ার জন্য নাইজেরীয়, ইকোওয়াস এবং আফ্রিকান ইউনিয়নের সাথে আছে তারা।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।