রোহিঙ্গাদের কাছে ক্ষমা চাইলেন মিয়ানমারের ছায়া সরকারের মন্ত্রী

মিয়ানমারের জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের ত্রাণ বিষয়ক মন্ত্রী ডঃ উইন মায়াট আয়ে ।

ভয়েস অফ আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মিয়ানমারের জান্তা বিরোধী ছায়া সরকারের ত্রাণ বিষয়ক মন্ত্রী “উত্তরাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচারের” ব্যর্থতার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। সেখানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ২০১৭ সালের আগস্টে নৃশংস দমনপীড়ন শুরু করেছিল।

হামলার সময় ডঃ উইন মায়াট আয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত অবিসংবাদিত নেত্রী অং সান সু চির প্রশাসনে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ওই হামলাকে সরকারি নিরাপত্তা পোস্টে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের আক্রমণের ব্যাপক মাত্রারিক্ত প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হয়েছিল।

সৈন্যদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, যৌন সহিংসতা এবং গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়ার মতো ব্যাপক নৃশংসতার অভিযোগ রয়েছে। লাখ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। সেখানে তারা বছরের পর বছর নোংরা শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে। এখনো তারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে ভয় পায়।

উইনের ক্ষমাপ্রার্থনা ২০১৭ সালে বিবিসি সাক্ষাৎকারে তার যে প্রকাশ্য অবস্থান ছিল তার বিপরীত দিক তুলে ধরে। তখন তিনি হামলাকে সন্ত্রাসবাদের প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া হিসেবে সেটির পক্ষ নিয়েছিলেন। তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, রোহিঙ্গারা নিজেরাই তাদের গ্রাম জ্বালিয়েছিল কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি “হ্যাঁ” বলেছিলেন।

বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন ইউকে-এর প্রেসিডেন্ট তুন খিনসহ কিছু রোহিঙ্গা নেতা উইনকে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের (আইসিজে) সামনে সাক্ষ্য দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আইসিজে রাখাইনে গণহত্যার অভিযোগ তদন্ত করছে।

২০২২ সালে এনইউজি কর্মকর্তারা মিয়ানমারের ওপর আদালতের এখতিয়ার স্বীকার করে আইসিসির প্রতি একটি ঘোষণা জারি করে। তবে দেশটি আইসিজের সদস্য নয়।

এই প্রতিবেদনটি ভয়েস অফ আমেরিকা বার্মিজ বিভাগ থেকে নেয়া হয়েছে।