ইউক্রেনের ড্রোনকে মস্কোতে ভূপাতিত করল রাশিয়া

৬০ বছর বয়সী তাতায়ানা স্ক্রিপনিকোভা যিনি হালকা আঘাতে ভুগেছিলেন, তিনি তার প্রতিবেশীদের বাড়ির ধ্বংসাবশেষের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন। খারকিভে গোলাগুলির পরে ধ্বংস হয়ে গেছে এই বাড়িঘর। ১৭ আগস্ট, ২০২৩।

ইউক্রেন শুক্রবার ভোরে মস্কোর উপর ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু রুশ বাহিনী এই মানবশূন্য বিমানটিকে নামিয়ে আনে।

রাশিয়া এই ড্রোন ভূপাতিত করার পর, হামলার ফলে সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষ মস্কোর এক্সপো সেন্টারে পড়ে। ক্রেমলিন থেকে ৭ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে থাকা এই সেন্টার প্রদর্শনীর এক বিশাল জায়গা।

মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন টেলিগ্রামে বলেছেন যে, ড্রোনটির ধ্বংসাবশেষ এক্সপো সেন্টারের কাছে পড়েছিল, তবে "উল্লেখযোগ্য কোন ক্ষতি হয়নি।"

ইউক্রেন বৃহস্পতিবার দাবি করেছে যে, তাদের পাল্টা আক্রমণ দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে রাশিয়া- নিয়ন্ত্রিত এলাকার কিছু অংশ পুনরুদ্ধার করেছে। সদ্য মুক্ত হওয়া উরোজাইন গ্রামের বাইরে এই আঘাত।

এই উদ্যোগ কার্যত আজভ সাগরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি প্রচেষ্টা এবং রাশিয়ার দখলদার বাহিনীকে দুই ভাগে ভাগ করার একটি প্রয়াস।

সামরিক মুখপাত্র আন্দ্রিয়ে কোভালিভ জাতীয় টেলিভিশনে বলেন, "উরোজাইনের দক্ষিণ দিকে [ইউক্রেনীয় সৈন্যরা] সাফল্য পেয়েছে।" এর বেশি কিছু তিনি আর বলেননি।

কিভ বলেছে, পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের উরোজাইনই প্রথম গ্রাম যেটি ২৭ জুলাই থেকে পুনরায় দখল করা হয়েছে। ব্যাপকভাবে মাইন পাতা রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে এটি ছিল এক কঠিন দখলের লড়াই।

উরোজাইন আজভ সাগর থেকে ৯০ কিলোমিটার উত্তরে এবং রাশিয়ার দখলে থাকা দোনেৎস্ক শহরের প্রায় ১০০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।

মস্কো-নিয়ন্ত্রিত জাপোরঝিয়ার একাংশের রাশিয়া-নিযুক্ত কর্মকর্তা ভ্লাদিমির রগোভ বলেন, উরোজাইন এবং পার্শ্ববর্তী গ্রাম স্টারমাইয়রস্কে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে ছিল না।

তবে, উরোজাইন নিয়ে তীব্র লড়াইয়ের ড্রোন ফুটেজ উঠে এসেছে, যাতে কয়েক ডজন রুশ সেনাকে গ্রামের দক্ষিণে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে।

রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ নিয়ন্ত্রণ করে, যার মধ্যে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপটি ২০১৪ সালে তারা দখল করে। এ ছাড়া রয়েছে লুহানস্ক অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ, দোনেৎস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলের বড় অংশ।

কিয়েভ জানিয়েছে, বিস্তীর্ণ রুশ মাইনফিল্ড ও ব্যাপকভাবে সুরক্ষিত রুশ প্রতিরক্ষা লাইনের কারণে তাদের পাল্টা আক্রমণ আরও ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে।