পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সীমান্ত বন্ধ, আটকে আছে শত শত পণ্য-বোঝাই ট্রাক

ফাইল-আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে নাংগারহার প্রদেশের তোরখাম সীমান্ত ক্রসিং-এ পণ্য বোঝাই অসংখ্য ট্রাক দাঁড়িয়ে। ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩।

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার নিয়ে দুই দিন পাকিস্তানের প্রধান সীমান্ত-ক্রসিং বন্ধ রাখা হল।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবহনকারীরা জানিয়েছেন, আকস্মিকভাবে সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে দুই দেশেরই বাণিজ্যিক পণ্য বোঝাই শত শত ট্রাক আটকে পড়েছে। ব্যস্ত তোরখাম সীমান্ত-ঘাঁটি দিয়ে বাণিজ্যিক কাজ ও যাত্রী পরিবহন করে এই ট্রাকগুলি।

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তালিবান কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, উত্তেজনা প্রশমন করতে এবং “ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে” উভয় পক্ষই বৈঠক করেছে। তবে, বৃহস্পতিবারও সীমান্ত-ক্রসিং বন্ধ ছিল। এ থেকে আন্দাজ করা যায়, তাদের বৈঠক নিষ্ফলাই রয়ে গেছে।

পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পারস্পরিক চুক্তি লঙ্ঘন করে তালিবান রক্ষীরা তোরখামের কাছে নতুন সীমান্ত-ঘাঁটি নির্মাণের কাজ শুরু করলে সশস্ত্র সংঘর্ষ বাঁধে। বারবার সতর্ক করার পরও তালিবান এই নির্মাণ-কাজ বন্ধ করেনি।

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে নাংগারহার প্রদেশেই রয়েছে তোরখাম। এখানকার বাসিন্দারা ভিওএ-কে বলেন, এই সংঘর্ষে দুই তালিবান রক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন এবং প্রায় এক ডজন আফগান বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।

দুই দেশেরই কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে, যদি হয়ে থাকে, আলোচনা করতে অস্বীকার করেছেন।

উভয় দেশের ব্যবসায়িক নেতারা পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে এই সীমান্ত-ক্রসিং পুনরায় দ্রুত খুলে দিতে অনুরোধ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, বহু ট্রাকই পচনশীল পণ্যে ভর্তি। এমন পণ্যের মধ্যে রয়েছে টাটকা ফল ও সবজি।

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বাণিজ্য ও শিল্প বিষয়ক যুগ্ম চেম্বারের অধিকর্তা জিয়াউল হক শারহাদি রয়টার্সকে বলেন, “তোরখামে গোলাগুলির ঘটনার পর বুধবার সেখানকার সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।”