দুই দেশ “গুরুত্বপূর্ণ সময়ে” একে অপরের “গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার”, ভিয়েতনাম সফরের শুরুতে বললেন বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভিয়েতনামের নেতা এনগুয়েন ফু ট্রং (ছবিতে নেই) ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির সদর দপ্তরে বক্তব্য রাখছেন (হ্যানয়, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩)

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রবিবার ভিয়েতনামে এক সংক্ষিপ্ত সফরের শুরুতে দেশটির নেতৃবৃন্দকে জানান, আগামী কয়েক দশক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে নিজেদের মতো করে গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে দুই দেশের সামনে।

বাইডেন বলেন, তার ২৪ ঘণ্টার সফরে তিনি আশা করছেন জলবায়ু, অর্থনীতি ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনায় অগ্রগতি হবে।

বাইডেন ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব এনগুয়েন ফু ট্রংয়ের সঙ্গে দলটির সদর দপ্তরে বৈঠক করেন। এই বৈঠকের জনসম্মুখে প্রচারিত অংশে বাইডেন বলেন, “আমার মতে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ভিয়েতনাম ও যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।”

ট্রং একমত হন যে তাদের বৈঠক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্প্রসারণ ঘটানোর এক “অসাধারণ সুযোগ”। শিগগির ওয়াশিংটন সফরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

ভিয়েতনাম একটি পূর্ণাঙ্গ কৌশলগত অংশীদারের মর্যাদা পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করছে। বাইডেনের এক শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মতে এই উদ্যোগ ভিয়েতনামের আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অবস্থান দিয়েছে।

চীন ও রাশিয়াসহ অন্য কিছু দেশকে ভিয়েতনাম এ ধরনের সম্মান দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রকে একই অবস্থানে আনার অর্থ হচ্ছে ভিয়েতনাম এ ধরনের একটি অংশীদারিত্বের সুবিধা নিতে চাইছে, কারণ ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ চীনা কারখানার বিকল্প খুঁজছে।

রবিবার দিনের শুরুতে বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান সহকারী উপদেষ্টা জন ফাইনার বলেন, এই অগ্রগামী মর্যাদা ভিয়েতনামের সর্বোচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের প্রতিনিধিত্ব করছে।

বাইডেনের সঙ্গে হ্যানয় অভিমুখী ফ্লাইটে উপস্থিত সংবাদদাতাদের উদ্দেশে ফাইনার বলেন, “এটি স্পষ্ট হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে এটা (এই মর্যাদা) শুধু বাকসর্বস্ব নয়”। “ভিয়েতনামের মতো প্রশাসনিক ব্যবস্থায় এটা তাদের সমগ্র সরকার ব্যবস্থা ও আমলাতন্ত্রের প্রতি একটি ইঙ্গিত, যে অপর একটি দেশের সঙ্গে সুগভীর পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় করা সম্ভব।”

ফাইনার যুক্তরাষ্ট্র-ভিয়েতনামের পাঁচ দশক দীর্ঘ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন—ভিয়েতনাম যুদ্ধ থেকে শুরু করে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে আসা এবং বাণিজ্যিক অংশীদারদের অন্যতম হয়ে ওঠা। এছাড়াও, দেশটি ওয়াশিংটনের সঙ্গে দক্ষিণ চীন সাগরের নিরাপত্তা নিয়ে একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

“এই সফরের মাধ্যমে এই সম্পর্ককে আমরা আরও গভীরে নিয়ে যাব”, বলেন তিনি।