আফগান বন্দিদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন বন্ধ করতে তালিবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ

তালিবান নিরাপত্তা কর্মীরা কাবুলে একটি রাস্তার পাশে পাহারা দিচ্ছে। ২১ ডিসেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি।

বুধবার জাতিসংঘ বলেছে, আফগানিস্তানে নারীসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তার ও আটকের সময় তালিবান ১৬০০টির বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তারা কর্তৃপক্ষকে অবমাননা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।

দ্য ইউ এন এসিস্ট্যান্স মিশন ইন আফগানিস্তান বা ইউএনএএমএ দুই বছর আগে তালিবান ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করার পর থেকে তাদের প্রথম প্রতিবেদনে বন্দিদের সাথে আচরণের বিষয়ে লঙ্ঘনের বিষয়টি নথিভুক্ত করেছে। তারা বলেছে, লঙ্ঘনের প্রায় অর্ধেক ছিল পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর অমানবিক বা অপমানজনক আচরণ বা শাস্তি।

প্রতিবেদনে দেশব্যাপী আটক ও কারাগারে পুলিশ জেনারেল ডিরেক্টরেট অফ ইন্টেলিজেন্স বা জিডিআই দ্বারা নির্যাতন এবং “অবমাননা”কে “পদ্ধতিগত” বলে অভিহিত করা হয়েছে।

২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর তালিবান সরকারি আফগান গুপ্তচর সংস্থা জিডিআই-এর নাম পরিবর্তন করে।ইউএনএএমএ প্রায় ৬০ শতাংশ লঙ্ঘনের জন্য গুপ্তচর সংস্থাকে দায়ী করেছে।

২০২২ সালের ১ জানুয়ারি এবং ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ৩৪টি আফগান প্রদেশের মধ্যে ২৯টি জুড়ে লঙ্ঘনের রিপোর্ট করা হয়েছে। ইউএনএএমএ বলেছে, তারা তালিবান হেফাজতে থাকা আফগান পুরুষ এবং নারীদের সাথে ১৩০টির বেশি বিস্তারিত সাক্ষাৎকারসহ ৮০০টির বেশি মামলা যাচাইয়ের মাধ্যমে লঙ্ঘনগুলো নথিভুক্ত করেছে।

তালিবান ইউএনএএমএ-র অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

তালিবান জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নেতৃত্বাধীন পুলিশ বিভাগ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ২১টি মামলা শনাক্ত করেছে এবং সেগুলো তদন্তাধীন রয়েছে।

ইউএনএএমএ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তালিবান আটক কেন্দ্রে নির্যাতন নিরীক্ষণের জন্য কিছু ব্যবস্থা চালু করেছে।