রাশিয়া এবং চীনের সীমান্তবর্তী স্থলবেষ্টিত অঞ্চলের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার প্রয়াসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়াশিংটনের দৃষ্টি মধ্য এশিয়ার দিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছেন- এমন একটি অঞ্চল যা পশ্চিম দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষা করে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে বাইডেন কাজাখাস্তান, কিরগিজিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। প্রাক্তন সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলোর রাশিয়ার সাথে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা সম্পর্ক রয়েছে এবং চীনের সাথে রয়েছে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক। আর এটির বড় রকমের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। অঞ্চলটি সিল্ক রোডের প্রধান ধমনী হিসেবে পরিচিত। সিল্ক রোড হচ্ছে ইউরেশীয় বাণিজ্য রুটের প্রাচীন নেটওয়ার্ক যা ১৫০০ বছরে হচ্ছে ধরে পূর্ব ও পশ্চিমকে সংযুক্ত করেছিল।
অধিকার গোষ্ঠীগুলো মানবাধিকারের ওপর জোর দেয়ার জন্য সভাটি ব্যবহার করতে বাইডেনকে অনুরোধ জানিয়েছে। পাঁচটি দেশেরই বিশ্বাসযোগ্য, গুরুতর নির্যাতনের অভিযোগের নথিভুক্ত ইতিহাস রয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে ২০২২ সালে কাজাখ রাজনৈতিক বিক্ষোভকারীদের ওপর কঠোর সরকারি দমনপীড়ন, কিরগিজ কর্তৃপক্ষের দ্বারা আরও দমনমূলক আইনের দিকে বর্তমান পদক্ষেপ এবং তুর্কমেনিস্তানে মানবাধিকার ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে আড়াল করা - একটি জাতি এতটাই বিচ্ছিন্ন, নিপীড়নমূলক এবং এর শাসক পরিবারকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে এতটাই নিমজ্জিত যে, এটিকে “মধ্য এশিয়ার উত্তর কোরিয়া” বলে অভিহিত করা হয়েছে।
বাইডেন তার বক্তব্যে মানবাধিকারের কথা উল্লেখ করেননি, তবে বৈঠকের হোয়াইট হাউজের রিডআউটে তিনি “আমাদের দেশগুলো কীভাবে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব, স্থিতিস্থাপকতা এবং সমৃদ্ধিকে আরও শক্তিশালী করতে এবং আমাদের সি ফাইভ প্লাস ওয়ান অংশীদারিত্বের মাধ্যমে মানবাধিকারের অগ্রগতিতে একসাথে কাজ করতে পারে সে সম্পর্কে তার সহপক্ষদের মতামতকে স্বাগত জানিয়েছেন।”