জলবায়ু সংকট এড়াতে হলে হাতে সময় অল্প, বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩।

বুধবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বিশ্বনেতাদের একটি জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে সতর্ক করেছেন যে পরিবেশগত বিপর্যয় এড়াতে হলে খুব বেশি সময় আর বাকি নেই।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের দিনব্যাপী সিম্পোজিয়ামের শুরুতে গুতেরেস বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে বলেন, "আমাদের অবশ্যই কথা চালাচলি, পারস্পরিক দোষারোপ এবং জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বিলিয়ন ডলার আয়ের স্বার্থে নগ্ন লোভের কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়া সময় পূরণ করতে হবে।"

গুতেরেসের উদ্বোধনী বক্তব্যের পর ব্রাজিল, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পলিনেশিয়ান দ্বীপ রাষ্ট্র টুভালুসহ ৩৪টি দেশের প্রতিনিধিত্বকারী রাষ্ট্রপ্রধান বক্তব্য রাখার কথা।

দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন, যারা সবচেয়ে বেশি পরিবেশ দূষণ ঘটায়, তারা লক্ষ্যণীয়ভাবে বক্তাদের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি এতে উপস্থিত ছিলেন।

গুতেরেস বলেন, বিশ্বব্যাপী জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে স্থানান্তর চলছে, তবে সেই অগ্রগতি কয়েক দশক বিলম্বিত হয়েছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিগুলো উন্নয়নশীল বিশ্বকে সবচেয়ে বেশি আঘাত করছে এবং এর জন্য সিংহভাগ দায়ী উত্তরের দেশগুলো।

কিন্তু আলোচনা শুধুমাত্র উত্তরের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্রগুলোর দূষণ রোধের ওপর সীমাবদ্ধ ছিল না।

কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশগুলোকে জলবায়ু উদ্যোগে স্বাধীনভাবে অর্থায়ন করার জন্য তাদের বিপুল অর্থের সমষ্টিগত সংস্থান একত্রিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এই মাসের শুরুর দিকে প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা আগামী দশকে প্রাক-শিল্প গড়ের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির পথে রয়েছে। এটি জলবায়ু পরিবর্তনকে হ্রাস করার যুদ্ধে একটি সর্বোচ্চ সীমা হিসেবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।