কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগে চীনে সাংবাদিক ও শ্রম অধিকার কর্মীর বিচার

চীনা সাংবাদিক হুয়াং শুয়েকিন #মিটু লেখা একটি ব্যানার ধরে আছন; (ফাইল ফটো), সিঙ্গাপুর, সেপ্টেম্বর ২০১৭।.

গুয়াংজুর একটি রুদ্ধদ্বার আদালতে শুক্রবার চীনের দুই বিশিষ্ট অধিকার কর্মীর বিচার কাজ শেষ হয়েছে। সমর্থক ও অধিকারকর্মীরা এই “প্রহসনমূলক বিচারের” নিন্দা জানিয়ে চীনা কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছে এবং তাদেরকে শিগগির মুক্তি দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।


চীনের #মিটু আন্দোলন নিয়ে কাজ করে নাম কুড়ানো নিরপেক্ষ চীনা সাংবাদিক হুয়াং শুয়েকিন ও শ্রম অধিকার কর্মী ওয়াং জিয়ানবিংকে ২০২১ এর সেপ্টেম্বরে চীনের পুলিশ গুয়াংজু থেকে গ্রেপ্তার করে। পরের মাসে তাদের বিরুদ্ধে “রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ” করার অভিযোগ আনা হয়।

হুয়াং ও ওয়াং ২ বছর বিনা বিচারে আটক ছিলেন। এ সপ্তাহেই তাদের সমর্থকরা প্রথম বারের মতো তাদের এই বিচারের তারিখ ও স্থান সম্পর্কে জানতে পারেন। ১৭ সেপ্টেম্বর দেয়া এক বিবৃতিতে, সমর্থকরা অভিযোগ করেন যে হুয়াং ও ওয়াং এর বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ আনা হয়েছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বিচারিক কার্যক্রমকে বিলম্বিত করা হয়েছে।


বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মামলায়, অধিকারকর্মীদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশের বিরুদ্ধে চীনের আতঙ্ক প্রতিফলিত হয়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে, যেকোনো ধরনের বিক্ষোভ দমনে দেশটির কঠোর অবস্থানের প্রতিফলন ঘটেছে।


কিছু অধিকারকর্মীর মতে, বেইজিং মনে করছে হুয়াং ও ওয়াং অধিকারকর্মীদের নতুন প্রজন্মের অংশ। যার ফলে তারা চীনের দমন পীড়নের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন।


এই মামলার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে চীনের কর্তৃপক্ষ কোনো খোলাখুলি মন্তব্য করেনি। ভয়েস অফ আমেরিকার পক্ষ থেকে গুয়াংজু ইন্টারমিডিয়েট পিপলস কোর্টে শুক্রবার বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও কেউ ফোন ধরেনি।


রয়টার্স জানিয়েছে, সাতটি পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের বিচার চলাকালে আদালতে ঢুকতে দেয়া হয়নি। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে; যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি,ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডস।


হুয়াং ও ওয়াং এর মামলাকে ঘিরে গোপনীয়তার বিষয়টি চীনের চলমান প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত। কর্তৃপক্ষ স্পর্শকাতর মানবাধিকার সংক্রান্ত মামলাগুলোর যেকোনো তথ্য জনগণের সামনে প্রকাশের বিষয়ে বাধার সৃষ্টি করছে। মানবাধিকারের পক্ষে থাকা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো এ কথা জানিয়েছে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স থেকে নেয়া