জার্মানির কাছে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রি করবে ইসরাইল

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু (ডানে) এবং ইসরাইলে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রিডম্যান জেরুজালেমে অ্যারো ৩ অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের একটি ভিডিও দেখছেন। ২৮ জুলাই, ২০১৯। ফাইল ছবি।

বৃহস্পতিবার ইসরাইল জার্মানির কাছে তার অত্যাধুনিক অ্যারো ৩টি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রি করার জন্য ৩৫০ কোটি ডলারের চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। দেশটি ইউক্রেনকে ধ্বংস করেছে এমন ধরনের বিমান হামলা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে চায়।

জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস সাংবাদিকদের বলেন, “ইউক্রেনে প্রতিদিনের রুশ হামলা থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিমান প্রতিরক্ষা সাধারণভাবে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।বিমান প্রতিরক্ষা, বিশেষ করে ইউরোপের কেন্দ্রস্থলে আমাদের জন্য অপরিহার্য।”

পিস্টোরিয়াস অ্যারো ৩-কে “সেরা না হলেও সেরা ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে একটি” বলে অভিহিত করেন। বার্লিন ২০২৫ সালের শেষের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী প্রযুক্তি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছে এবং এটিকে তারা বৃহত্তর নেটো বিমান প্রতিরক্ষা কর্মসূচীতে একীভূত করবে।

গত বছর বার্লিন ইউরোপিয়ান স্কাই শিল্ড ইনিশিয়েটিভের নেতৃত্ব দিয়েছিল। এটি একটি বিস্তৃত বিমান প্রতিরক্ষা অভিযান যা বর্তমানে ১৯টি দেশে কাজ করে।

যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে অ্যারো নির্মাণে সহায়তা করেছিল এবং আগস্ট মাসে জার্মান-ইসরাইল চুক্তিকে সবুজ সংকেত দিয়েছিল।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, “আজ দুটি ছোট্ট স্বাক্ষরের মাধ্যমে আমরা ইতিহাস তৈরি করেছি।” গ্যালান্ট বার্লিনকে “একটি সময়োপযোগী এবং কার্যকর হস্তান্তর”-এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

গ্যালান্টের বক্তব্যে ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বে জার্মানির অবদানের কথা তুলে ধরে হলোকাস্টের পর থেকে জার্মানি কতটা এগিয়েছে তাও প্রতিফলিত হয়। তিনি এই চুক্তিকে “প্রতিটি ইহুদির জন্য সম্মুখে এগিয়ে যাওয়ার” ঘটনা” বলে

গ্যালান্ট বলেন, ইসরাইল এবং জার্মানি উভয় দেশের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য আজ হাত মেলাচ্ছে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি থেকে নেয়া হয়েছে।