চীনের তথ্য আধিপত্যের পরিকল্পনা সম্পর্কে সতর্ক করলো যুক্তরাষ্ট্র

বেইজিং-এর প্রধান বাণিজ্যিক এলাকার দৃশ্য; ৩০ এপ্রিল, ২০২৩।

বিশ্বের তথ্য-আবহকে বদলে দেয়ার জন্য শত শত কোটি ডলার ঢালছে চীন। আর, এর মধ্য দিয়ে, ধীরে ধীরে বহু দেশের অবস্থানকে বেইজিং-এর সুবিধার দিকে টেনে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের নতুন মূল্যায়নে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের গ্লোবাল এনগেজমেন্ট সেন্টার বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদেনে অভিযোগ করা হয়েছে, সমন্বিত কৌশল ব্যবহার করে চীন সরকার এমন একটি বিশ্ব গড়তে চাইছে; যেখানে বেইজিং প্রকাশ্যে বা গোপনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের লক্ষ্য হলো “এমন একটি তথ্য পরিবেশ সৃষ্টি করা, যেখানে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য গ্রহণযোগ্যতা লাভ করবে এবং প্রভাবশালী হয়ে উঠবে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আটকানো না হলে, পিআরসির (গণপ্রজাতন্ত্রী চীন) এই উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী তথ্য প্রবাহের চিত্রকে নতুন আকার দেবে। তাদের এই পদক্ষেপ পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য ছড়াবে এবং তথ্য জগতে ফাঁকফোকর সৃষ্টি করবে। যার ফলে, বেইজিং-এর কাছে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাগত স্বার্থের জন্য ঋণী দেশগুলো এর ভিত্তিতে নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারে।“

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ক্ষতি করতে তথ্য-আবহ নষ্ট করার চীনের উদ্যোগ সম্পর্কে, এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সতর্ক করছেন।

কোভিড-১৯ মহামারীর শুরুর মাসগুলোতে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, এই ভাইরাসের উৎস সম্পর্কে অপতথ্য ছড়াতে চীন ব্যাপকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে সন্দেহের বীজ বপন করার লক্ষ্যে চীনের প্রভাবযুক্ত প্রচার সম্পর্কে বারবার সতর্ক করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। নির্বাচনের ফলকে প্রভাবিত করতে চীনের প্রচেষ্টা সম্পর্কেও কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

তবে, পররাষ্ট্র দফতরের নতুন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এখন ভিন্ন কিছু দেখতে পাচ্ছেন। আর তা হলো, চীনের অপতথ্য ছড়ানোর উদ্যোগ এখন আরো বেশি পরিপক্ক। এটা এখন নির্দিষ্ট বিষয় বা ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট প্রচারের কৌশলকে ছাড়িয়ে গেছে।