যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ৬০০ কোটি ডলারের প্রাপ্যতার ওপর অবরোধ আরোপ করতে পারে

ফাইল ছবি- যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে ইরানের তেল রাজস্ব থেকে প্রাপ্ত ৬০০ কোটি ডলার দেশটির জন্য লভ্য করা হয়। এই অর্থে ইরানের উপলব্ধতা বাধাগ্রস্ত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানদের চাপের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বাইডেন প্রশাসন ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা ওই অর্থ আবার আটকে দেবার বিষয়ে বিবেচনা করছে।

ইরান সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস ইসরাইলে সহিংস হামলা চালানোর এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এ বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এই হামলায় ১৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং শিশু ও বৃদ্ধসহ প্রায় ১৫০ জনকে জিম্মি করা হয়েছে।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে । ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইসরাইলে কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করার সময় সংবাদদাতাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনো তহবিল বিতরণে আনুষ্ঠানিকভাবে বাধা দিতে পারে।

একাধিক সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়্যালি অ্যাডেইমো হাউজ ডেমোক্র্যাটদের সাথে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বলেছেন, ওই অর্থ “এত তাড়াতাড়ি কোথাও যাচ্ছে না”। এতে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, বৈঠকে অন্তত অস্থায়ী বিধিনিষেধের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কার্বি হোয়াইট হাউজে তহবিলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চলমান কোনো আলোচনার বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, “কূটনৈতিক আলোচনার বিষয়ে আমি কোনোভাবেই কথা বলবো না। তাই আমি আপনাদের যা বলতে পারি তা হলো, সেই অর্থের প্রতিটি পয়সা এখনো কাতারের একটি ব্যাংকে জমা আছে। এর একটি পয়সাও ব্যয় করা হয়নি।”

সিনডি শেইন এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।