সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, যৌন অসদাচরণের ক্ষেত্রে প্রতিরোধ এবং প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তারা স্বীকার করেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত যৌন হয়রানির সমস্যা রয়ে গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌন অসদাচরণ রোধ এবং প্রতিক্রিয়ার পরিচালক গয়া গামহেওয়াগে বলেছেন, “গত দু বছর ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেকোনো ধরনের যৌন অসদাচরণ, যৌন হয়রানির প্রতিরোধ এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে আমাদের কাজকে আরও জোরদার করেছে।”
গামহেওয়াগে বলেন, "ডব্লিউএইচও তার নিজস্ব কর্মশক্তি- অর্থাৎ আমাদের কর্মী, আমাদের কন্ট্রক্টর, আমাদের ইমপ্লিমেন্টিং পার্টনারদের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের যে অভিযোগ রয়েছে সেগুলোর প্রতিরোধ এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে কাজ করছে। এর মধ্যে শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত নয়।"
এর মধ্যে প্রায় ৮৩টি যৌন নিপীড়নের ঘটনা গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে ১০তম ইবোলা প্রাদুর্ভাবের সময়কার। এগুলোর ২৫ শতাংশ ডব্লিউএইচও-র কর্মকর্তাদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাকি অভিযোগগুলো প্রাদুর্ভাবের সময় কাজ করা অন্যান্য সংস্থাগুলোর সাথে সম্পর্কিত ছিল। ডব্লিউএইচও শুধু পরামর্শদাতা এবং অন্যান্য কন্ট্রাক্টরসহ ডব্লিউএইচও-র সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সাথে সম্পর্কিত তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে।
ডব্লিউএইচও ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে শোষণমূলক আচরণ থেকে সংস্থাকে মুক্ত করতে যৌন অসদাচরণ মোকাবিলায় একটি বিশেষ ইউনিট তৈরি করেছে। যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটায় এই ইউনিট গঠন প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। ইবোলা মহামারির সময় কাজ করা শান্তিরক্ষী, জাতিসংঘের কর্মী এবং কন্ট্রাকটরসহ অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে।
গামহেওয়াগে বলেছেন, যেকোনো ভুক্তভোগী বা যৌন হয়রানির শিকার হওয়া ব্যক্তির সাক্ষ্য ও অভিজ্ঞতা শোনা গুরুত্বপূর্ণ।
যেহেতু যৌন অসদাচরণ সম্পূর্ণরূপে নির্মুল করা সম্ভব নয়, গামহেওয়াগে বলেন, "আমরা জিরো টলারেন্স খুঁজছি, জিরো কেস নয়।"