আইএমএফ ‘এর সতর্ক বার্তা: চীনের অর্থনীতির ধীরগতি আফ্রিকায় অর্থনৈতিক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে

ফাইল- চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (মাঝে) এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা ( বামে দ্বিতীয়),চীন-আফ্রিকা নেতাদের গোল টেবিল সংলাপে । জোহানেসবার্গ, আগস্ট ২৪,২০২৩।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল(আইএমএফ), আফ্রিকার দেশগুলোকে সেখানে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং চীনের অর্থনীতির গতি কমে আসায় এর প্রতিকুল প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছে।

গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আফ্রিকা ও চীন অর্থনৈতিক বন্ধনে আবদ্ধ। চীন হচ্ছে সেই মহাদেশের বৃহত্তম বানিজ্যিক অংশীদার। আফ্রিকা চীনের কাছে ধাতব পদার্থ, খনিজ সম্পদ ও জ্বালানি তেল রপ্তানি করে থাকে এবং চীন থেকে তৈরি পণ্য ও যন্ত্রপাতি আমদানি করে থাকে।

আই এম এফ বলছে এই অংশীদারিত্বের বিরুদ্ধে হুমকি হচ্ছে চীনের অর্থনীতির মন্থরগতি বয়স্ক জনসংখ্যা, বানিজ্য নিয়ে উদ্বেগ, ভূরাজনীতি এবং কভিড-১৯ মহামারির চলমান প্রভাব।

কেনিয়া কেন্দ্রিক ব্যবসায়ী আদনান ইব্রাহিম বলেন যে কভিড-১৯ এর নিয়মাবলীর জন্য দীর্ঘদিন চীনা কোম্পানিগুলির নাগাদ পাওয়া কঠিন ছিল, যার মধ্যে ছিল ভিসার বিধিনিষেধ যার ফলে তুলনামূলক ভাবে প্রতিমাসে খুব কম লোক সে দেশে যাবার ভিসা পেতেন।

২০২২ সালে চীন করোনাভাইরাসের কারণে আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়।

আন্তর্জাতিক অর্থনীতির একজন প্রভাষক গ্যারিশন ইরিয়ারা বলেন চীন ও আফ্রিকার দেশগুলো যে অর্থনৈতিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে তা তাদের বানিজ্যের উপর প্রতিকুল প্রভাব ফেলছে।

ইরিয়ারা বলেন,“ আফ্রিকার অর্থনীতি যখন হয় খরা নয়তবা অন্যান্য সমস্যার মুখোমুখি, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করতে পারে তখন ‘এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে চীনের উপর। আর এ রকমটি যখন চীনে হয়, তখন এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে আফ্রিকায়। কভিড ১৯ মহামারির পর চীনের অর্থনীতির পুনরুদ্ধার খুব ধীরগতিতে কারণ সম্পত্তির বাজারে মন্দা দেখা দেয় এবং ভোক্তারা ব্যয় কমিয়ে দেন।

চীনের বানিজ্যের উপাত্তে দেখা যাচ্ছে যে চীনা পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ার সাথে সাথে.আমদানি-রপ্তানি অব্যাহত ভাবে কমে যাচ্ছে।