ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বৃহস্পতিবার তার দৈনিক ভাষণে বলেছেন, “আগ্রাসনে সহায়তা করে” এমন ২২০টি বেশি রুশ সত্তার ওপর “নতুন এবং অত্যন্ত শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞা” আরোপ করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ।
যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার চীন,তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের একশ’র বেশি ব্যক্তি এবং সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলো রাশিয়াকে ইউক্রেনে আক্রমণের জন্য অত্যাবশ্যক সরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতি সংগ্রহে সহায়তা করে থাকে।
ইউক্রেনের নেতা বলেন, প্রতিটি নিষেধাজ্ঞাকে “সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হতে হবে, যাতে নিষেধাজ্ঞাগুলো এড়িয়ে যাওয়ার জন্য রাশিয়ার কোনো সুযোগ না থাকে।” জেলান্সকি বলেন, “নিষেধাজ্ঞার শক্তি হলো বিশ্বের শক্তি।”
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, বৃহস্পতিবার রাশিয়ার হামলায়, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন এলাকায় আরো দুজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদের এক জন ৮১ বছর বয়সী নারী এবংঅন্য জন ৬০ বছর বয়সী পুরুষ। এই অঞ্চলে রুশ মলায় এটি সর্বসাম্প্রতিক মৃত্যুর ঘটনা।
গভর্নর ওলেক্সান্ডার প্রোকুদিন বলেছেন, বেশ কয়েকটি গ্রাম লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। এই হামলায় আরো চারজন আহত হয়েছেন; আর বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই অঞ্চলের রাজধানীতে রুশ গোলাবর্ষণে বুধবার এক ব্যক্তি নিহত হন। এর পর এই দুই জন নিহত হলেন। অঞ্চলটিকে খেরসন বলেও ডাকা হয়। হামলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাকে প্রোকুদিন “সর্বনাশা দৃশ্য” বলে অভিহিত করেছেন।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা নিয়মিতভাবে সেখানকার প্ল্যান্টে পারমাণবিক দুর্ঘটনার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করছে।
চার মাসের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ চলছে মন্থর গতিতে। এমন প্রেক্ষাপটে জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি বলেছেন, দুই পক্ষই একটা অচলাবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে।
মস্কো যুদ্ধকে এমন ভাবে চিত্রিত করার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে। এ বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দ্যমিত্রি পেসকভ বলেছেন, “রাশিয়া অবিচলভাবে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে। আর অভিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ অবশ্যই পূরণ হবে।”
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স, এপি এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।