রাশিয়ার ইতিহাসের অস্ত্রীকরণ করেছেন পুতিন, মেদভেদেভ

খেরসন শহরকে রুশ সেনাবাহিনীর দখল মুক্ত করার ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে মিউনিসিপাল কর্মীরা আঞ্চলিক প্রশাসন ভবনের দেওয়া বড় আকারের জাতীয় পতাকা আঁকছেন (১০ নভেম্বর ২০২৩)

ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট দ্যমিত্রি মেদভেদেভ কিছু নথি প্রকাশ করেছেন, যা ব্রিটিশ মন্ত্রকের ভাষায়, “ইতিহাসের ওয়েপোনাইজেশন (অস্ত্রীকরণ) এর সমতুল্য। এগুলো প্রকাশের লক্ষ্য হচ্ছে রুশ জনগণের মধ্যে পশ্চিম বিরোধী চিন্তাধারা সৃষ্টি ও দেশটির ঠিক পশ্চিমে অবস্থিত প্রতিবেশী দেশগুলোকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা।”

শনিবার ইউক্রেন যুদ্ধ বিষয়ক দৈনিক হালনাগাদ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলছে, পুতিন ২৪২টি নথির একটি সংকলন প্রকাশ করেছেন, যার শিরোনাম হল, “রাশিয়া ও ইউক্রেনের ঐতিহাসিক একাত্মতা”। এই নথিগুলো একাদশ থেকে বিংশ শতাব্দীর মধ্যে লেখা হয়েছে। এসব নথির মাধ্যমে পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ক্রেমলিনের বর্তমান নীতিমালার যৌক্তিকতা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন এবং এতে রয়েছে প্রেসিডেন্টের নিজস্ব “ ব্যাখ্যা সম্বলিত অভিমত”।

ব্রিটিশ মন্ত্রক মেদভেদেভের প্রকাশনা নিয়ে মন্তব্য করেছে, এটি একটি প্রবন্ধ, যেখানে তিনি রাশিয়া-পোল্যান্ডের সম্পর্কের ইতিহাসকে “তিনি যেভাবে দেখেন”, সেভাবে লিখেছেন। ব্রিটিশ মন্ত্রকের মতে তিনি পোল্যান্ডকে “আগ্রাসী, পশ্চাদমুখী,রুশফোবিক নীতি”অনুসরণের জন্য অভিযুক্ত করেন তিনি এই প্রকাশনায় একইসঙ্গে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার হুমকিও দিয়েছেন।

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতে শুক্রবার প্যারিস শান্তি শুরুর আগে িইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি একটি আশাপ্রদ বক্তব্য রেখেছেন।

শুক্রবার তিনি বলেন, “যারা প্রকৃতপক্ষে শান্তিকে মূল্য দেয়, তাদের সবার পারস্পরিক সহযোগিতা ও ঐক্যবদ্ধতার মাধ্যমে বিপর্যয় প্রতিরোধ ও দেশগুলোর দুর্ভোগের অবসান ঘটানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে, সব দেশই গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরও বলেন, “এটা মনে রাখা জরুরি।”

“কয়েকটি মহান” রাষ্ট্র বলে কিছু নেই, “যারা বিশ্বের সবার ভাগ্য-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। সব দেশই সমান, এবং সব দেশেরই যথোপযুক্ত সম্মান পাওয়ার অধিকার আছে”, ইউক্রেনের নেতা বলেন।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স ও এএফপি থেকে নেওয়া হয়েছে।