এই বছর এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে মাত্র ১২ জন শিশু পোলিওভাইরাসে পঙ্গু হয়েছে। সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে। দুটো দেশে ছয়জন করে আক্রান্ত হয়েছে।এই দুটিই শেষ দুটি দেশ যেখানে অত্যন্ত সংক্রামক এই রোগটি এখনও বিদ্যমান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে যে এই দেশগুলির টিকাদান কর্মসূচি থেকে প্রচুর সংখ্যক শিশু বঞ্চিত হচ্ছে। ওয়াইল্ড পোলিও ভাইরাস টাইপ-ওয়ানের বিরুদ্ধে যেটুকু অর্জন হয়েছে তার প্রতি একটি বড় রকমের ঝুঁকি তৈরি করছে েএই বাধা প্রদান।
ডব্লিউএইচও শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, নথিবিহীন আফগানদের প্রত্যাবাসনের জন্য পাকিস্তানের প্রচেষ্টা আন্তঃসীমান্তে দুই দেশের মধ্যে পোলিও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়িয়েছে।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে, পাকিস্তানে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশিদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে প্রায় ৫০ হাজার আফগান আফগানিস্তানে ফিরে এসেছে। ফিরে আসা আফগানদের সংখ্যা ১৭ লাখে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, কোয়েটা, করাচি, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি এবং রাজধানী ইসলামাবাদ সহ প্রধান শহরগুলিতে সংক্রমণ চিহ্নিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, কিছু এলাকায় নিরাপত্তাহীনতা এবং টিকা বর্জন, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে পোলিও বিরোধী প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে। এই প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ার। প্রদেশটি আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী, এবং এই বছরের ছয়টি পোলিও সংক্রমণের মধ্যে চারটি খাইবার পাখতুনখোয়ায় ছিল।
আফগানিস্তানে আগস্ট থেকে নতুন পোলিওর ঘটনা ঘটেনি, এবং ভাইরাসটি পূর্ব নাঙ্গারহার সীমান্ত প্রদেশে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। সেখান থেকে এই বছর ছয়টি সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।