ইউক্রেন ১০০ বছর পর ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন পালন করবে

কর্মীরা কিয়েভের একটি রেলস্টেশনে বড়দিন উৎসবের গান গাইছে (২১ ডিসেম্বর, ২০২৩)

১৯১৭ সালের পর এবারই প্রথমবারের মতো ২৫ ডিসেম্বর বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে বড়দিনের উৎসব পালন করবে ইউক্রেন। রাশিয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে গত বছরও ৭ জানুয়ারি দেশটিতে বড়দিন পালিত হয়েছিল।

আগামীকাল বড়দিন পালনের সিদ্ধান্তে রাশিয়া থেকে নিজেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আলাদা করার আরেকটি ইউক্রেনীয় উদ্যোগের প্রতিফলন ঘটেছে।

রাশিয়া ও পশ্চিমের দেশগুলো গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকা ব্যবহার করলেও রাশিয়া কিছু ধর্মীয় বিষয়ের ক্ষেত্রে এখনও জুলিয়ান পঞ্জিকা ব্যবহার করে থাকে। ইউরোপের অন্যান্য দেশের সঙ্গে নিজেদের একাত্মতা প্রকাশের চলমান উদ্যোগের অংশ হিসেবে কিয়েভ সর্বশেষ এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

পোল্যান্ডের চাষিরা পোল্যান্ড ও ইউক্রেনের মাঝে অবস্থিত শেহাইনি-মেদাইকা সীমান্ত খুলে দিয়েছে। শনিবার কিয়েভের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিরিদেনকো এ কথা জানান।

সিরিদেনকো বলেন, “পশ্চিম সীমান্ত পরিস্থিতিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি”।

পোল্যান্ডের ট্রাকচালকরা শনিবার বলছেন, তারা অপর তিন ক্রসিংয়ে অবরোধ অব্যাহত রাখবেন এবং আরও কম সংখ্যক ট্রাক চলতে দেবেন। তারা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে ইউক্রেন যে অন্যায্য বাণিজ্য সুবিধা পাচ্ছে, তা স্থানীয় কৃষকদের স্বার্থবিরোধী। এর প্রতিবাদে তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।

বিক্ষোভকারীরা ৬ নভেম্বর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্ত ক্রসিংগুলো অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তাদের দাবি, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে একটি পূর্ববর্তী ব্যবস্থা আবারও চালু করতে হবে, যার আওতায় ইউক্রেনীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই ব্লকে কার্যক্রম পরিচালনা করতে অনুমতি নিতে হয় এবং একইভাবে, ইউরোপীয় ট্রাকচালকদের ইউক্রেনে প্রবেশ করার ক্ষেত্রেও প্রয়োজন হয় অনুমোদনের।

শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি তার দৈনিক বক্তব্যে ইউক্রেনের যুদ্ধ উদ্যোগের সমর্থক সব অংশীদারকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, পরবর্তী বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদনের জন্য কিয়েভ অপেক্ষা করছে। তিনি আরও বলেন, “সিদ্ধান্ত নিতে হবে, এটা বুঝতে পারার জন্য আমি উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”

জেলেন্সকি একইসঙ্গে রাশিয়া ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নতুন করে আরও এক দফা অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ আরোপ করায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি “খারকিভ থেকে খেরসনের যুদ্ধক্ষেত্রগুলোতে লড়ছে” এমন সব ইউক্রেনীয় যোদ্ধার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।