গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ৭০ জন নিহত, বলছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা

২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর গাজার একটি হাসপাতালে ইসরাইলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মৃতদেহের পাশে মানুষ শোক প্রকাশ করছে।

গাজা ভূখণ্ডে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে মধ্য গাজার একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের বিমান হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরাইলের স্থল অভিযান এবং হাজার হাজার বিমান হামলা গাজার বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। হামলায় ২০ হাজার ৪শ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় একটি গৌরবময় বড়দিনের প্রাক্কালে পোপ ফ্রান্সিস দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, যিশুর জন্মস্থানে যিশুর শান্তির বার্তাকে “যুদ্ধের নিরর্থক যুক্তি” দিয়ে চাপা দেয়া হয়েছে।

গাজার নিহতের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পোপ ফ্রান্সিস বলেন, “আজ রাতে, আমাদের হৃদয় বেথলেহেমে, যেখানে যুদ্ধের নিরর্থক যুক্তি এবং অস্ত্রের সংঘর্ষের মাধ্যমে শান্তির রাজপুত্রকে আরও একবার প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, যা তাকে আজও পৃথিবীতে জায়গা পেতে বাধা দেয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস রবিবার বলেছেন, গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তিনি যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডব্লিউএইচও হাসপাতাল এবং অ্যাম্বুলেন্সসহ গাজায় স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর ২৪৬টি আক্রমণ নথিভুক্ত করেছে। এসব আক্রমণে ৫৮২ জন নিহত এবং ৭৪৮ জন আহত হয়েছে।

হামাস জঙ্গিরা ৭ অক্টোবর গাজা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে এবং ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে আক্রমণ চালায়। ইসরাইল জানায়, এ আক্রমণে ১২০০ জন নিহত হয়।

যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্যরা হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। ৭ অক্টোবরের হামলায় হামাস ইসরাইলের ২৪০ জন জিম্মিকে আটক করে। এদের মধ্যে ১২৯ জন এখনো গাজায় রয়ে গেছে।

এর জবাবে ইসরাইল হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করে এবং গাজায় বিমান,স্থল ও সমুদ্র আক্রমণ শুরু করে।

ইসরাইল হামাসের জনাকীর্ণ আবাসিক এলাকা ও টানেল ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে বলেছে, বেসামরিক মৃত্যুর উচ্চ সংখ্যার জন্য হামাস দায়ী।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।