জাপানে ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত

জিজি প্রেসের দেয়া এই ছবিতে জাপানের নোটো অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পের একদিন পর ইশিকাওয়া জেলায় ওয়াজিমাতে বিধ্বস্ত একটি সাততলা ভবন। ২ জানুয়ারি, ২০২৪।

নতুন বছরের প্রথম দিনে জাপানের পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা বলেছে, ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এই ভূমিকম্পে বেশিরভাগ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হোনশু দ্বীপের ইশিকাওয়া জেলায়। ধ্বংসস্তূপে আটকে আছে অসংখ্যা মানুষ। বেশ কয়েক ডজন বাড়িঘর ও ভবন মাটির সাথে মিশে গেছে।

রাস্তাগুলো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। অন্তত একটি আঞ্চলিক বিমানবন্দরের একটি রানওয়েতে ফাটল দেখা দিয়েছে যা জরুরি পরিষেবা কর্মকর্তাদের জন্য ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করা কঠিন করে তুলেছে।

ভূমিকম্পটি এক মিটারের বেশি উচ্চতার সুনামির সূত্রপাত করে। সুনামিটি পুরো অঞ্চলে বয়ে যায়, গাড়ি, ঘরবাড়ি ভাসিয়ে সমুদ্রে নিয়ে ফেলে এবং মাছ ধরার নৌকাগুলো ডুবিয়ে দেয়।

ইশিকাওয়াতে বন্দর নগরী ওয়াজিমাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওয়াজিমা সকালের বাজার এবং ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পের জন্য বিখ্যাত। ভূমিকম্পের ফলে বিশাল একটি অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এতে বহু ভবন ধ্বংস হয়ে যায়।

সোমবার রাতভর দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করেছে।

মঙ্গলবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সরকারি দুর্যোগ কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠকে বলেছে, ইশিকাওয়া জেলায় ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়া যেকোনো ভুক্তভোগীকে বাঁচাতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কর্মীরা “সময়ের স্বল্পতার বিরুদ্ধে লড়াই” করছে।

জাপানের আত্মরক্ষা বাহিনীর প্রায় ১ হাজার সদস্যকে দুর্যোগপ্রবন অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে।

ইশিকাওয়াতে ৪ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুতবিহীন অবস্থায় রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের অভিন্ন গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে,যা আমাদের জনগণকে যুক্ত করে। আমাদের ভাবনা এই কঠিন সময়ে জাপানের জনগণের সাথে রয়েছে।”

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।