যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সুস্থ সম্পর্ক এখন ‘আর কোনো বিকল্প নয়’: চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দিয়াওইউতাই গেস্ট হাউসে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই চীন-যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৫ তম বার্ষিকী স্মরণে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার পর আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। ৫ জানুয়ারি, ২০২৪।

শুক্রবার চীনের শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন, তার দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতা এখন আর কোনো বিকল্প নয় বরং অপরিহার্য। তিনি চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের সুস্থ বিকাশের আহ্বান জানিয়েছেন।

দুই দেশের মধ্যে ৪৫ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের স্মরণে বেইজিং-এর একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দানকালে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের আগের চেয়ে আরও বেশি অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে এবং সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ওয়াং বলেন, “এটি বলা যেতে পারে, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা এখন দুই দেশের জন্য বা এমনকি বিশ্বের জন্য কোনো পরিহার্য বিকল্প নয়, তবে এটি একটি বাধ্যতামূলক প্রশ্ন যা অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে সমাধান করা উচিত।”

তিনি উভয় পক্ষকে “তাদের মধ্যে যোগাযোগের সেতু তৈরি করতে” তাদের মধ্যে পুনরুদ্ধার করা সমস্ত প্রক্রিয়ার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন। ওয়াং কূটনীতি, অর্থনীতি, অর্থ, বাণিজ্য ও কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

দুই পরাশক্তির মধ্যে উত্তেজনা তীব্রতর হওয়ার এক বছর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সমঝোতামূলক বক্তব্যগুলো সামনে আসে। ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে যুক্তরাষ্ট্রে আকাশপথে ভাসমান একটি চীনা গুপ্তচর বেলুন আবিষ্কৃত হওয়ার পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের চীনে কূটনৈতিক সফর বিলম্বিত হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বেলুনটি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়।

রাশিয়ার সাথে চীনের সম্পর্ক, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে দেশটির চলমান হুমকি, দক্ষিণ চীন সাগরে আঞ্চলিক বিরোধ এবং ন্যায্য বাণিজ্য সমস্যাগুলোও ওয়াশিংটনের সাথে বেইজিং-এর সম্পর্ককে বাধাগ্রস্ত করেছে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।